শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বৈশাখের টানা খরতাপে পুড়ছিল দেশ। প্রতিদিনই বেড়েছে তাপমাত্রা। গেল এক মাস দেশজুড়ে ছিল মরুভূমির মতো উষ্ণতা। দেশের বৃহদাংশের অবস্থা ছিল উত্তপ্ত চুল্লির মতো। অসহনীয় গরম আর দীর্ঘ তাপপ্রবাহে বিবর্ণ হয়ে উঠেছিল প্রাণ-প্রকৃতি। তাপমাত্রাও ছাড়িয়েছিল ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মেলে গেল ২ মে। দেশজুড়ে শুরু হয় বৃষ্টি, নামে স্বস্তি।
তবে বৃষ্টি প্রবণতা আরও পাঁচদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি বলেছেন, দিনের কোনো এক সময়, অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় একবার বৃষ্টি হতে পারে।
তবে বৃষ্টির প্রবণতা কমে এলে আবারও তাপদাহ আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবহাওয়া অফিসের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, এ মাসে আবারও তাপদাহ আসার আশঙ্কা আছে। মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে বা তৃতীয় সপ্তাহের শুরুতে আবারও তাপদাহ শুরু হতে পারে।
এদিকে বুধবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে,আজ সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কম থাকবে। প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে রাতের তাপমাত্রাও।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল আরও কমবে দিনের তাপমাত্রা। শুক্রবার দিন ও রাতের তাপমাত্রা উভয়ই কমার সম্ভাবনা আছে।
এদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ সময় চট্টগ্রামের দু’এক জায়গা ছাড়া ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়নি। এছাড়া দেশের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। তবে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে মাইজদীকোর্টে ১৫ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস বলছে—আগামী তিনদিন প্রায় সারাদেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।
বজলুর রশিদ বলেন, আমাদের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে কিছুটা বেশি—২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাওয়ায় যেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ ডিগ্রির উপরে, সেখানে গতকাল খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া যেহেতু ঠান্ডা হয়ে গেছে,শিলার পরিমাণ কমে আসবে। যেসব জায়গায় মেঘের উচ্চতা বেশি হবে,সে রকম দু‘এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে,রংপুর,রাজশাহী,খুলনা,বরিশাল,পটুয়াখালী,নোয়াখালী,কুমিল্লা,চট্টগ্রাম,কক্সবাজার,ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। এ সময় পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসা ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার।
আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)