বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গাইবান্ধায় কৃষকেরা প্রজাপতি নামে অধিক ফলনের একটি ধানের চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন।
প্রান্তিক কৃষক আমিনুল ইসলাম, আনারুল মিয়া ও আমজাদ হোসেনসহ অনেকেই চলতি মৌসুমে বোরো আবাদে চাষ করেছেন প্রজাপতি নামের এই ধানের জাত। ইতোমধ্যে এই ধান চাষে বাজিমাত করেছেন তারা।
সোমবার (১৩ মে) গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের গয়েশপুরে গ্রামের কৃষক আনারুলের খেতে গিয়ে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন উপজেলার মাঠে প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এই জাতের ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। এই ফসল ক্ষেত থেকে তারা পাচ্ছেন বাম্পার ফলন। যা অন্যান্য কৃষকদেও তাক লাগিয়েছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানায়, গাইবান্ধার কৃষিমাঠে বোরো মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাষ করছেন উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ধান। উফশী ধানের পাশাপাশি ফলন বেশি হওয়ায় হাইব্রিড ধানের চাষে আগ্রহ বেড়েছে জেলার কৃষকদের। তবে উফশী ও হাইব্রিড ধানে ফলন বেশি হওয়ার ফলে দেশি জাতের ব্রি ধান-২৮, ২৯ ও ৫৮ স্থানীয় ধানের চাষ কমে এখন হাইব্রিডে ঝুঁকছে। এর পাশপাশি এ বছরে প্রথম প্রজাপতি (চিকন) নামে হাইব্রিড ধান চাষ করে অধিক ফলন ঘরে তুলছেন কৃষকরা।
আমজাদ হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, যেখানে দেশি জাতের ব্রি ধান- ২৮ জাত চাষ করে বিঘা প্রতি ২০ থেকে ২৫ মণ পাওয়া যায় সেখানে উচ্চ ফলনশীল উফশী চিকন জাতের ধান চাষ করলে বিঘা প্রতি ২৮ থেকে ৩৩ মণ পাওয়া যায়।
কৃষক উজ্জ্বল মিয়া জানান, এ বছর হাইব্রিড চিকন ধানের বীজ প্রজাপতি নিয়ে জমিতে রোপণ করি। প্রথম থেকে চারা ও গাছের টিলার দেখে মন জুড়িয়ে যায়। এখন শীষ প্রায় ১ ফুটের মতো। চিটাও কম দানাও পুষ্ট। ফলনও ভালোই হয়েছে। তবে গোছা ও শীষ দেখে আমি খুব খুশি। শতকে ৩২ কেজি ধান পেয়েছি।
বল্লমঝাড় ইউনিয়নের কৃষক আনারুল মিয়া বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা চাচারা দেশি ধান চাষ করতেন। তখন ফলন ছিল অনেক কম অবশ্য খরচও ছিল কম, কিন্তু এখন আর স্থানীয় ধান চাষ করে খরচ তোলা দায়। তবে হাইব্রিড ও উফশীতে ফলন অনেক ভালো হয়। দেশি জাতের ধানের তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ বেশি ফলন পাওয়া যায়। আমাদের এলাকার বেশিরভাগ কৃষক উফশী ধান চাষ করছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)