বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১


জয়পুরহাটে পানির নিচে ৬২ শতাংশ ধান, মিলছে না শ্রমিক

জেলা সংবাদদাতা, জয়পুরহাট

প্রকাশিত:৯ জুন ২০২৪, ১৬:৩৩

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

জয়পুরহাটে আলুর পর একটু দেরীতেই রোপণ করা হয় বোরো ধান। অন্যান্য এলাকায় যখন পাঁকা ধান কাটা শেষ পর্যায়ে, তখন এ জেলায় শুরু হয় বোরো ধান কাঁটা। বর্তমানে জয়পুরহাটে মাঠের পর মাঠ জুড়ে পড়ে আছে পাঁকা ধান। কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের পাঁকা ধান। এর সঙ্গে দেখা দিয়েছে কৃষি শ্রমিকের সংকট। ঝড়-বৃষ্টির পর বেশী দামেও মিলছে না কৃষি শ্রমিক। অধিকাংশ জমির ধান মাটিতে নুয়ে গেছে। পাঁকা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছে কৃষকরা ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৭শ২৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমিতে উচ্চফলনশীল (উফশী) এবং হাইব্রিড জাতের ধান হয়েছে। খাদ্য উৎপাদনের জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ১২০ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে। সে হিসেবে চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৩ লাখ মে.টন। এ পর্যন্ত ৩৮ শতাংশ জমির ধান কাঁটা-মাড়াই হয়েছে। এখনও ৬২ শতাংশ ধান মাঠেই আছে।

কৃষকরা জানান, এ এলাকায় আলু পর ধান রোপণ করা হয়। সে কারণে ধান পাকতে একটু দেরি হয়। এবারও ধান পাকতে দেরি হয়েছে। যে সময় মাঠের পর মাঠ জুড়ে ধান পাঁকে, ঠিক সেই সময়ই শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষিশ্রমিকের সংকটের কারণে ধান কাঁটা যাচ্ছে না। বেশী টাকাতেও শ্রমিক মিলছে না। গত কয়েকদিনের ঝড়-বৃষ্টির কারণে অনেকের ধান বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে। জমানো পানি অন্যত্র সরানোর কোনো উপায় নেই।

জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার ভাসিলা গ্রামের কৃষক সুজন মিয়ার জানান, গত বছর একবিঘা (৩৩ শতক) জমির ধান কাটতে শ্রমিকের মজুরি দিতে হয়েছিল ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। এবার সেই একবিঘার ধান কাটতে মজুরি দিতে হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। তারপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

কালাই উপজেলার হাতিয়র গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী ও আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেনসহ বেশকয়েকজন কৃষক জানান, এবার ধানকাঁটা শ্রমিকের খুবই সংকট। এর আগে কখনও শ্রমিকের সংকট হয়নি। যদিও বাহির থেকে শ্রমিকের দল আসছে, তাদের নিয়ে গৃহস্থদের মধ্যে টানাহেচঁড়া শুরু হয়েছে। জমানো একহাটু পানি সঙ্গে বজ্রপাতের আতঙ্কে শ্রমিক ও কৃষক উভয়ই মাঠে নামতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে মাঠের ধান মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভিন বলেন, বৈরী আবাওহায়ার কারণে পুরোদমে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আবওহায়া ভাল থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে।

তিনি আরও বলেন, আগামীতে শ্রমিকের সংকট আরও দেখা দিবে। কারণ এ পেশায় নতুন করে আর কোনো লোক আসবে না। আমরা কৃষকদের ধান কাটার যন্ত্রপাতী ভূর্তকিতে নিতে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করছি কৃষক এসব যন্ত্রপাতী সহজেই ক্রয় করবেন। তাহলেই এ সংকট থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে। অল্প সময়েই ফসল ঘরে ওঠবে।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:২৯ ভোর
যোহর ১১:৫৩ দুপুর
আছর ০৪:১৭ বিকেল
মাগরিব ০৬:০৩ সন্ধ্যা
এশা ০৭:১৬ রাত

বৃহঃস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪