বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
রাজধানীর কদমতলীতে প্রেমিকের সঙ্গে ঝগড়া করে জান্নাতুল ফেরদৌস নাজিবা নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বদরুন্নেছা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
জান্নাতুল ফেরদৌস নাজিফার (১৮) বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানা এলাকায়। তিনি ওই এলাকার ইউসুফ আলীর মেয়ে। কদমতলীর হজরত শাহজালালবাগ এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি।
মৃতের প্রতিবেশী বাড়ির মালিক জিল্লুর রহমান বলেন, আমি গতকাল (সোমবার) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে বাসায় ঢুকছিলাম। এ সময় জান্নাতুল ফেরদৌসের বাবা ইউসুফ আলীকে খুব চঞ্চল দেখাচ্ছিল। তিনি আমাকে দেখে বলেন— জান্নাতুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তার এক বান্ধবী আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না, আমাকে একটু কথা বলিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পরই তার প্রেমিক মাহবুব আমাকে ফোন দিয়ে বলে সেও তার খোঁজ পাচ্ছে না। পরে আমরা দুজনই বাসায় এসে দরজা ভেঙে দেখি ফ্যানের সঙ্গে জান্নাতুলের লাশ ঝুলছে। এ সময় তার গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল।
তিনি আরও বলেন, জান্নাতুলের প্রেমিক মাহবুব তার বাবা ইউসুফ আলীকে জানিয়েছে— মাহবুবের সঙ্গে জান্নাতুলের মুঠোফোনে ঝগড়া হয়।
কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করি। এরপর সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠাই।
মৃতের বাবার বরাতে তিনি আরও বলেন, মাহবুব নামে এক ছেলের সঙ্গে জান্নাতুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে তার অনেক ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে প্রেমিক মাহবুব ফোন না ধরলে জান্নতুল তার বাবাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে তার বাবা এসে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় জান্নাতুলকে দেখতে পাই।
এ ঘটনায় মৃতের বাবা বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও উল্লেখ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)