সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১
রাজধানীর তুরাগে এক উবার চালকের ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন এক ইতালিয়ান নাগরিক। তার পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যান ওই দুর্বৃত্ত চালক। এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের ১২ ঘণ্টার মধ্যে খোয়া যাওয়া মালপত্র উদ্ধার করে দিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় জড়িত উবারচালকসহ দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে তুরাগ থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- খোরশেদ আলম (২৮) ও মো. শাহিন মিয়া (২২)।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, রোববার তুরাগ থানা এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকৃত মালামালসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
তুরাগ থানা সূত্র জানায়, রোববার ভোরে ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর ইতালি হতে একটি ফ্লাইটে ঢাকা শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তিনি বিমানবন্দরের সামনে থেকে একটি উবার মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ১৯নং সেক্টরের প্রবাসী হোস্টেলে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা করেন। মোটরসাইকেল চালক ইতালিয়ান নাগরিককে হোস্টেলে না নিয়ে গিয়ে তুরাগের ১৫নং সেক্টরের ১নং মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন ব্রিজের পাশে নিয়ে যান। সেখানে ইতালিয়ান নাগরিককে তার অপর এক সহযোগীর সহায়তায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক তার সঙ্গে থাকা ইতালিয়ান পাসপোর্ট, একটি আইফোন ১৩ মোবাইল, একটি আইফোনের চার্জার, একটি ম্যাকবুক চার্জার, ইতালিয়ান পরিচয়পত্র, ব্যাংক কার্ড, সুগন্ধি, ইতালিয়ান বই, নগদ ৫০ ইউরো ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইতালিয়ান নাগরিক তানিয়া মোহাম্মদ শেখ নূর তুরাগ থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে ছিনতাইকারী উবার মোটরসাইকেল চালক খোরশেদ আলমকে শনাক্ত করে পুলিশ। পরে তুরাগ থানার পাকুরিয়া হাসুর বটতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে পাকুরিয়া এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকাজে সহায়তাকারী মো. শাহিন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা উবার মোটরসাইকেল চালকের বেশ ধারণ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে যাত্রীদের টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতো মর্মে স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)