শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠেছিল জনজীবন। এরপর দুএকদিন কিছুটা বৃষ্টির দেখা মেলে। তাতেও যেন স্বস্তি ফিরছিল না জনজীবনে। অবশেষে শনিবার ভোরে আকাশ ভেঙে নেমে আসে বৃষ্টি। প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো ধরে চলা এই বৃষ্টি নগরজীবনে স্বস্তি দিলেও জলাবদ্ধতা বাড়িয়েছে দুর্ভোগ।
মুষলধারার বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে বারিধারা, শেওড়াপাড়া, ভাষানটেক, ধানমন্ডি নিউমার্কেট, নয়াপল্টন, তেজগাঁও, মালিবাগসহ বিভিন্ন জায়গায়।
জলজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পশার মানুষ। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সড়কে মানুষের চলাচল কম। তবে যাদের বের হতে হয়েছে, তারা পড়েছেন ভোগান্তিতে।
রাজধানীর অনেক জায়গায় প্রধান সড়ক ছাড়াও বিভিন্ন অলিগলিতে পানি জমে গেছে।
সকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে পানি মাড়িয়ে যানবাহন চলতে দেখা যায়। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে, পানি মাড়িয়ে গন্তব্যে যান।
জলজটে বাজে অবস্থা ছিল ধানমন্ডি মিরপুরে। এছাড়া মিরপুর, বারিধারা, নিউমার্কেটেও রাস্তায় অনেক পানি দেখা গেছে।
ধানমন্ডিতে রাশেদুল নামে এক পথচারী বলেন, মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে সড়ক তলিয়ে গেছে। এখনো বর্ষা মৌসুম শুরু হয়নি। বর্ষা শুরু হলে কী অবস্থা হবে তা সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে।
কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুম রাজধানীবাসীর জন্য এক আতঙ্ক। সামান্য বৃষ্টিতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা জলাবদ্ধ থাকে রাজধানীর অনেক সড়ক। এবার বর্ষা মৌসুম এখনো শুরু না হলেও আজ মাত্র দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতে অনেক সড়কে জলজট দেখা গেছে।
সংবাদকর্মী সোহেল জানান, নিউমার্কেট থেকে বারিধারায় আসার সময় অনেক স্থানে সড়কে পানি জমে থাকতে দেখেছেন তিনি।
সোহেল বলেন, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর এক ঘণ্টারও বেশি সময় একটি দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। বৃষ্টি শেষে অফিসে আসার পথে অনেক জায়গায় রাস্তায় পানি জমে থাকতে দেখেছি। এই বৃষ্টিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)