শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আদালতের রায়ের পরও আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রোল করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।
সংগঠনের নেতারা বলেন, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করার যে আন্দোলন করা হচ্ছে তা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য টার্গেট করা হচ্ছে।
বুধবার (১২ জুন) প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খা হলে 'মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল, অপপ্রচার ও বাস্তবতা' বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ও কোটার পক্ষে রিটকারী অহিদুল ইসলাম তুষার।
তিনি বলেন, এ দেশে নানা বৈষম্যর কারণে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। তবে এখন সরকারি চাকরির নিয়োগে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছে, তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য শুধুমাত্র চতুর্থ শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে কোঠা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরি দিতে চাচ্ছে একটি গোষ্ঠী। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের প্রথম শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে দেখতে চায় না সেই গোষ্ঠী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আদালতে রায়ের পর ২০১৮ সালে ৪ অক্টোবর ৯ম-১৩তম গ্রেড এবং ২০২০ সালে ১ম-৮ম গ্রেডে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তখন মিডিয়ায় প্রচার করা হয় শুধু ১ম ও ২য় শ্রেণির পদে কোটা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু পরিপত্রে দেখা গেলো ১ম,২য় এবং তৃতীয় শ্রেণির ৩টি গ্রেড ১১,১২,১৩তম পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। কেননা ১ম শ্রেণি শুধু ৯ম গ্রেড, ২য় শ্রেণি শুধু ১০ম গ্রেড এবং তৃতীয় শ্রেণি ১১-১৬তম গ্রেড ও চতুর্থ শ্রেণি ১৭-২০তম গ্রেড। অর্থাৎ ১ম ও ২য় শ্রেণির কথা বলে ৩য় শ্রেণির আংশিক কিছু পদে কোটা বাতিলের কারণ খুব পরিকল্পিত। কারণ তৃতীয় শ্রেণির এ গ্রেডগুলোতে জনবল সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক যাতে সরকারি চাকরিতে বৃদ্ধি না পায় সে জন্য এ শ্রেণিগুলোতেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা জামালউদ্দিন সরকার, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)