রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এসময় বেশ কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনের আংশিক অপসারণসহ জরিমানা করা হয়।
রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দেন রাজউক পরিচালক (অডিট ও বাজেট) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য করার জন্য রাজউক কাজ করে যাচ্ছে। সেই পদক্ষেপ অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জোন ৬/১ আওতাধীন ওয়ারী এলাকায় অভয় দাস লেন, কে এম দাস লেন, আর কে মিশন রোডে রাজউকের নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করি। নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণসহ তাৎক্ষনিক ভাবে দুইটি ভবনে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নকশা বহির্ভূত নির্মাণাধীন ভবনগুলোর সেটব্যাক ও ভয়েড এ ব্যত্যয় পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কয়েকটি ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও নির্মাণকারীরা ভবন মালিকরা নিজ দায়িত্বে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নকশা বহির্ভূত অংশ অপসারণ করবে এবং রাজউকের অনুমোদিত নকশা মেনে ইমারত নির্মাণ করে সে বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়।
এছাড়া মো. হাসানুজ্জামান বলেন, যে সকল ভবন নির্মানকারী রাজউক অনুমোদিত নকশা মেনে ভবন নির্মাণ করবে না এবং রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে মানুষ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেক্ষেত্র আমরা তাদেরকেও আইনের আওতায় নেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছি।
স্থানীয়রা জানান, স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা এলাকার মানুষ রাজউকের এই অভিযানে সহযোগিতা করি। এলাকাবাসী মনে করে রাজউক নিয়মিত এই ধরনের অভিযান চলমান রাখলে কেউ নকশা ছাড়া ভবন করতে সাহস পাবে না।
মোবাইল কোর্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক জোন-৬ এর পরিচালক সালেহ আহমদ জাকারিয়া,অথরাইজড অফিসার মো. হাসানুজ্জামান, প্রধান ইমারত পরিদর্শক বাসুদেব ভট্টাচার্য ও বেলাল হোসেন, ইমারত পরিদর্শক মো. জিয়াউদ্দিন, মো. ফিরোজ আলম, সুমন আহমেদ, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. ইমরান শেখ, মো. কামরুজ্জামান, বিশ্বজিৎ সিংহসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)