বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেছেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার গায়ের জোরে নতুন কারিকুলাম জাতির ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট নতুন কারিকুলাম বাতিলের জন্য গত কয়েক বছর ধরে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হওয়ার পর শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট এই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে এবং আন্দোলনকারীদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। এবার কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে মাঠে নামবে শিক্ষকরা।
শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের এক প্রতিনিধি সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, যে কারিকুলাম শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা চায় না সেই কারিকুলাম বাতিল করা হবে। এছাড়া স্কুল-কলেজ পরিচালনা কমিটি বাতিল, অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট পুনর্গঠন, অবসর বয়স ৬৫ বছর করাসহ চাকরি জাতীয়করণ শিগগিরই করা হবে।
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, সংগঠনটি আন্দোলনে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। পরে স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনার পতনের জন্য এক দফা দাবি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে শরিক হয়েছে।
বর্তমান দেশ স্বৈরচারমুক্ত। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আগের সরকারের আমলের গঠিত হওয়ার সব পরিচালনা কমিটি ও গভর্নিং বডি বাতিল করতে হবে।
সংগঠনের মহাসচিব মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন এম. এ. ছফা চৌধুরী, সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক কাজী মো. মাইন উদ্দীন, অধ্যাপক একেএম. আব্দুল আউয়াল, অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া, অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, মো. আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, অধ্যাপক মঞ্জুরুল ইসলাম, অধ্যাপক মোসাররফ হোসেন লিটন, অধ্যাপক এএসএম বাবুল, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এসএম বায়েজিত, কারিগরি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুন উর রশিদ গাজী, ঢাকা মহানগর শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ পারভীন, শিক্ষক নেতা অধ্যাপক আব্দুল হাকিম ও অধ্যাপক আকম. রাকিব উদ্দীন খান, শিক্ষাবার্তার সম্পাদক এএইচএম সায়েদুজ্জামান এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যান্য নেতরা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)