রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দেওয়ানবাগসহ দেশের বিভিন্ন দরবার ও মাজারে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন দেওয়ানবাগের ইমাম ড. কুদরত এ খোদা। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তার পক্ষে নিন্দা জানান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আজিজ খলিফা।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে প্রশ্ন রেখে আবদুল আজিজ খলিফা বলেন, দেওয়ানবাগ কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত নয়। মানুষের প্রতি দয়া, প্রেম, ভালোবাসা প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তারপরও কেন, কার স্বার্থে বার বার মানুষকে বিভ্রান্ত করে দেওয়ানবাগে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হচ্ছে?
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়ানবাগের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুস সালাম, ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দেওয়ান ফারুকুল ইসলাম, বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জন ডা. মো. আমিনুল ইসলাম, এমরান হোসাইন মাজহারী ও সাব্বির আহমদ ওসমানীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিইউবি'র সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নাছিরউদ্দীন সোহেল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ৬ সেপ্টেম্বর দেওয়ানবাগী কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন দেওয়ানবাগ গ্রামে অবস্থিত বাবে জান্নাত দেওয়ানবাগ শরীফে এবং ৮ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলাধীন বাবে বরকত দেওয়ানবাগ শরীফে হামলা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট এবং সংশ্লিষ্ট দরবার দুটিতে অবস্থানরত নিরীহ ভক্তদের ওপর দুর্বৃত্তরা শারীরিক নির্যাতন চালায়। এর ফলে শতাধিক ভক্ত আহত হন এবং একজন মৃত্যুবরণ করেন। এরা ইতোপূর্বে ১৯৯০ ও ১৯৯৯ সালেও দেওয়ানবাগে হামলা চালিয়েছিল।
এ সময় আরও বলা হয়, আজকের এই সংকট দেওয়ানবাগ শরীফের একার নয়। এই সংকট বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় সুফিবাদী জনগোষ্ঠীর। সকল তরিকতপন্থী মানুষের। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে এসব জুলুম-অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার এখনি সঠিক সময়। তাই সকল তরিকতপন্থী ও সুফিবাদীদের মতানৈক্য ভুলে একত্রিত হয়ে এমন কর্মকাণ্ড প্রতিহতের আহ্বান জানাই।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)