শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সাবেক এমপি তাহজিব আলম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অবৈধ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ধানসিড়ি কম্পোজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মো. দুলাল হোসেন খাঁন।
তিনি বলেন, গাজীপুর জেলার কাশিমপুরের দক্ষিণ পানিশাইল মৌজাস্থিত জে এল নং-৩৬, খতিয়ান নং আর এস) ৪৩,৬,৬২,৬০,৬১ দাগ নং (আর এস)- ৫৯,৬২,৬৩,৬৫,৬৫ দাগের মোট ১৬৭ শতাংশ জমি ক্রয়ের মালিক আমি। জমি নিচু থাকায় মাটি ভরাট করে ফ্যাক্টরি স্টীল বিল্ডিং নির্মাণ করর সময়ে সাবেক এমপি তাহজিব আলম সিদ্দিকী ও তার ভাই তানজীর আলম সিদ্দিকী তাদের চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিয়ে আমার কাজে বাধা দেন এবং জবর দখলের উদ্দেশ্যে আমাকে ভয়ভীতি ও গুম করার হুমকি দেয়।
তারা সুকৌশলে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রশাসনের লোক দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ৬৮ দিন আটকে রেখে অতি নির্মমভাবে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালায়, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
তিনি অভিযোগ করেন, অপহরণের সময় আমার গাড়িতে থাকা সাড়ে লাখ টাকা এবং দুইটি স্মার্ট মোবাইল ফোন নিয়ে যায়, একটি চেক বই এবং ও ১৫ টি সাদা স্ট্যাম্পে সাক্ষর নেন। অপহরণ থাকা অবস্থায় তারা আমার জমি দখল করে নেন।
পরবতীর্তে আমার পরিবারের সদস্যরা তৎকালীন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তারা আমাকে মানিকগঞ্জ জেলা অধীন শিবালয় থানায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে। ওই সময় প্রশাসনের কর্মকর্তারা অবৈধ অস্ত্র দেখিয়ে মামলা দেন। আমি জামিনে মুক্ত হয়ে জমি উদ্ধারের জন্য গেলে তারা আমাকে আবারও গুম ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
দুলাল বলেন, তৎকালীন গাজিপুরের পুলিশ সুপার হারুনকে দিয়েও পুনরায় আমাকে গ্রেফতার ও নির্যাতন করেরে। তাহজিব আলম সিদ্দিকীর নামে জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। জমি না লিখে দেয়ায় ডিবি হারুন ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আমার পরিবার থেকে দফায় দফায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
তিনি বলেন, আমি আমার জমি উদ্ধারের পাশাপাশি সাবেক এমপি তাহজিবসহ তার লোকজনদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দা জানাচ্ছি। এসময় ধানসিড়ি কম্পোজিট লিমিটেডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)