শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চট্টগ্রামে স্টেশন মাস্টারের ভুলে একই সময়ে স্টেশনে ঢাকাগামী কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ক্রসিং করে। এর ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পাহাড়তলী কন্ট্রোল ও পটিয়া স্টেশন মাস্টারের ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, পাহাড়তলী কন্ট্রোলের ভুলের কারণে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি পটিয়া স্টেশন আসার পর আবার উল্টো পথে (পুশব্যাক) ২৪ কিলোমিটার দোহাজারী স্টেশনে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। কারণ এর আগে পটিয়া স্টেশনের মেইন লাইনে ক্রসিং করে কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস।
দোহাজারী স্টেশন ম্যানেজার এস এম ইকবাল জানান, গতকাল দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী (৮১৬) পর্যটক এক্সপ্রেস ও কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী (৮১৩) কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ক্রসিং পটিয়া স্টেশনে করার সিদ্ধান্ত নেয়–কন্ট্রোল। সেই মোতাবেক পর্যটক এক্সপ্রেস আগে পটিয়া স্টেশনের মেইন লাইনে এসে দাঁড়ায়, অপরদিকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস পটিয়ার কাছাকাছি আসে। কিন্তু পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়ে যায়। কারণ পটিয়া স্টেশনের লুপ লাইনে কক্সবাজার এক্সপ্রেসের (২২ কোচের) রেক জায়গা হবে না। পটিয়া স্টেশন থেকে ষোলশহর পর্যন্ত ৮ বগির বেশি বগির ট্রেন ক্রসিং করা যায় না। পরবর্তীতে কক্সবাজার এক্সপ্রেসকে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পটিয়া থেকে ব্যাক গিয়ারে (উল্টো পথে) করে বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে আবার দোহাজারী স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।
দুই ট্রেনের চালকরা জানান, কন্ট্রোল থেকে কোনো ট্রেনের মুভমেন্ট–ক্রসিং যারা করে থাকেন তারা অবশ্যই সেই স্টেশন, ট্রেন বিভিন্ন বিষয়ে অবগত থাকেন। আজকের (গতকাল) মুভমেন্ট যিনি করিয়েছেন তিনি কি জানতেন না যে, পটিয়া স্টেশনে এই পুরো ট্রেন জায়গা হবে না? পটিয়া স্টেশনের আউটারেই একটি ডেড স্টপেজ (ভাঙা সেতু) আছে, সেই সেতুর উপর দিয়ে উল্টো গাড়ি চালানো রীতিমতো ভয়ংকর সিদ্ধান্ত। অথচ সেটাই জোর করে করা হয়েছে শেষ পর্যন্ত।
গত ২৪ তারিখ স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টম্যানের ভুলে লাইন ক্লিয়ারেন্সের কারণে কক্সবাজার ঈদ স্পেশাল ডুলহাজারা স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)