বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে তৈরি হওয়া যান্ত্রিক ত্রুটি কাটিয়ে না উঠতেই আবারও মেট্রোরেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। বুধবার (২৯ মে) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে থেমে যায় মেট্রোরেল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।
জানা যায়, সকাল সোয়া ৯টার পর মতিঝিল থেকে ছেড়ে আসে একটি ট্রেনটি। সচিবালয় স্টেশন পার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে ঢোকার কয়েক মিটার আগে সকাল ৯টা ৩২ মিনিটে ট্রেনটি থেমে যায়। ফলে ওই সময় লাইনে থাকা সবকটি ট্রেনই চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
ওই ট্রেনের যাত্রী মামুন শেখ জানিয়েছেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে ট্রেনটি বন্ধ হয়ে গেছে বলে চালক জানিয়েছেন। এর ৩ মিনিট পর আবার চালু হয়ে আস্তে আস্তে ঢাবি স্টেশনে এসে থেমে যায়। এ সময় কোনো ঘোষণা না আসায় যাত্রীরাও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান, তারা কী করবেন। যদিও ৯টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি আবারও ঢাবি স্টেশন থেকে উত্তরার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় সিগন্যাল ত্রুটির কারণে ঘণ্টাখানিক সময় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের দিন রোববার সকাল থেকেই মেট্রোরেলের সিগন্যাল সিস্টেমে আবার দুই দফায় সমস্যা দেখা দেয়।
এদিকে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন জানিয়েছেন, মেট্রোরেল চলাচলে বিভিন্ন দেশেই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। যখন যে সমস্যা ধরা পড়ছে সেটা নিয়ে কাজ চলছে। টেকনিক্যাল জিনিস একটার সঙ্গে আরেকটা সম্পৃক্ত। তাই একটা জায়গায় সমস্যা হলে সেটা অন্যটার ওপর প্রভাব ফেলে। দুবাই, দিল্লি, কলকাতা মেট্রোতেও এমন সমস্যা হয়।
তিনি বলেন, ধীরে ধীরে অবশ্য সমস্যাগুলো কমে আসছে। লোকজন প্রশিক্ষিত হয়ে গেলে এ ধরনের সমস্যা আরও কমে আসবে। একেবারে সমস্যা হবে না, তেমনটা কিন্তু নয়। সারা বিশ্বেই সমস্যা হয়, সে রকম হয়ত আমাদেরও কিছু কিছু হবে। রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য আরও নিজস্ব দক্ষ জনবল তৈরিতে প্রশিক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)