সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১
ছবি সংগৃহীত
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা ও বিলাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস ব্যাপারী এবং পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও থেমে নেই তাদের সংঘর্ষ। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি কুদ্দুস ব্যাপারীসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
রোববার (৬ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা থেকে র্যাব-৮ ও র্যাব-৩-এর যৌথ অভিযানে কুদ্দুস ব্যাপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-৮-এর মিডিয়া অফিসার অমিত হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুরে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। শনিবার রাতে থানা পুলিশের এসআই সঞ্জয় কুমার বাদী হয়ে ৮৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ৮০০ থেকে ১ হাজার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।
এদিকে শনিবার রাতেই সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে যৌথ বাহিনী জাজিরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বিলাসপুরের আব্দুল মাদবরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০), মৃত আব্দুল লতিফ মাদবরের ছেলে শাহ আলম (৪২), শেখ আব্দুল জব্বারের ছেলে শেখ আব্দুল মালেক (৫৫), আলী আজগর মাদবরের ছেলে শাহজাহান মাদবর (৪৪), মৃত আব্দুর রবের ছেলে মতিউর রহমান (৪৭), মো. ইউসুফ শেখের ছেলে শাহাবুদ্দিন শেখ (২৩) ও শামছুদ্দিন মাদবরের ছেলে শহর আলী মাদবর (৫০)। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার সকালে বিলাসপুর এলাকায় ঘুরে দেখে গেছে, ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পুরো বিলাসপুর এলাকাজুড়ে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে এলাকা প্রায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। পুরো এলাকায় এখন সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে।
জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল আখন্দ বলেন, বিরোধপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)