মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তৃতীয় দিনে ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আছিয়ার বোন মোছা. হামিদা।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তলবকৃত সাক্ষীদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ইউনিটের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম সাক্ষ্য দেন। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে বিচার সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
সকালে আদালতে নেওয়ার পথে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ বলেন, আমার ছেলের বউ হামিদাকে ধরেন। তিনি সব জানেন। সব কিছুই করেছেন তিনি। সঠিক তদন্ত হলে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।
সোমবারও আদালতে যাওয়া-আসার পথে সাংবাদিকদের কাছে একই মিনতি জানিয়েছিলেন হিটু শেখ।
এদিকে মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহমেদ বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর এ মামলায় বাদীর এজাহার এবং পুলিশের চার্জশিটে বিস্তর ফারাক রয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির বোনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার মা আয়েশা খাতুন থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। সেখানে ঘটনার সময় রাত ১টা ৩০ মিনিট উল্লেখ করা হলেও পুলিশি তদন্তে সকাল ৮টা ২০ থেকে ৯টা ৩০ মিনিটের কথা বলা হয়েছে।
তবে ১৬১ ধারায় শিশুটির বোন হামিদা কী স্বীকারোক্তি দিয়েছেন সেই সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি লিগ্যাল এইড নিযুক্ত আসামিপক্ষের আইনজীবী সোহেল আহমেদ।
মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মামলায় অভিযুক্ত আসামি ধর্ষণের শিকার শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম এবং তাদের দুই ছেলে সজিব শেখ এবং রাতুল শেখের উপস্থিতিতেই সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। একনাগাড়ে তৃতীয় দিন পর্যন্ত মোট ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। বুধবারও সাক্ষ্যগ্রহণ রয়েছে।
সেখানে হাসপাতালে চিকিৎসায় দায়িত্বরত ডাক্তার নার্সসহ ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যায় ধর্ষণের শিকার আছিয়া। এর আগে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় আছিয়া।
মামলার প্রধান আসামি হিটু শেখ ১৫ মার্চ এ ঘটনায় একাই জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অথচ মঙ্গলবার এবং আগের দিন সোমবার আদালতে যাওয়া-আসার পথে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নির্দোষ দাবির পাশাপাশি আছিয়ার বোন হামিদাকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)