শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
কুষ্টিয়ায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে গেছে দফায়-দফায়। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) কুষ্টিয়া পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, এখন বাজারের অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। এতে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন চরম সংকটে। অনেক ক্রেতা অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে বাজারে নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা।
এক সপ্তাহ আগে বেগুনের দাম ছিল ৫০ টাকা কেজি, যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০ টাকায়। কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। পটলের দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ২০ থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে বেড়ে ৫০ টাকা, আর ঢেঁড়স ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে ও কাঁচা কলার দামও বেড়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে একজন ক্রেতা বলেন, বাজারে ৫০ টাকার বেগুন এখন ১২০ টাকা। সব সবজির দামই লাগামছাড়া। গরিব মানুষের বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। বাজার মনিটরিং করা জরুরি।
অন্যদিকে কুষ্টিয়া পৌর বাজারের এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আমরা বেশি দামে কিনি, বেশি দামে বিক্রি করি। কম দামে কিনতে পারলে, কম দামে বিক্রি করি। সীমিত লাভ করি আমরা। দাম বাড়তি বা কমার বিষয়ে আমাদের হাত নেই।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক মাসুম আলী ও কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, বৃষ্টির কারণে মাঠে সবজি উৎপাদন কমেছে। ফলে সরবরাহও হ্রাস পেয়েছে। তবে কেউ অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ালে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানো হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)