মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বরগুনার একটি কলেজের লাইব্রেরি কক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনীসহ প্রায় চার শতাধিক আওয়ামী লীগ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের বই বের করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে বইগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় তারা।
সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরি কক্ষ থেকে বইগুলো বের করা হয়।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, গত বছরের পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ওই সরকারের চিহ্ন মুছে ফেলা হলেও বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের লাইব্রেরিতে ছিল শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের আরও অসংখ্য বই। পরে কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে লাইব্রেরিতে খুঁজে প্রায় চার শতাধিক বই বের করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্র শিবিরের সভাপতি বলেন, লাইব্রেরিতে বঙ্গবন্ধুর কিছু বই ছিল। গত পাঁচ আগস্টের পর ওই বইগুলো থাকার কথা না। স্যারদের সঙ্গেও শিক্ষার্থীরা জানতে চেয়েছে বইগুলো আছে কিনা। তবে তারা বলেছিলেন বইগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পরে লাইব্রেরিতে খুঁজে বইগুলো পাওয়া গেলে কলেজের সামনে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শিহাব হোসাইন বলেন, কলেজের চার তলার একটি লাইব্রেরি রুম থেকে শেখ মুজিবের বিভিন্ন গল্পের বইসহ চার শতাধিক বই বের করা হয়েছে। ছাত্রদলের কলেজ শাখার সদস্যরাসহ, ছাত্র শিবির, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে এ বইগুলো খুঁজে বের করা হয়। পরে বইগুলো আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অনিল চন্দ্র কার্তুনিয়া বলেন, প্রায় দেড় মাসের মতো সময় হয়েছে আমি কলেজে যোগদান করেছি। এর আগে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি আমাকে বলেছেন গত সরকারের ওই বইগুলো গুছিয়ে ফেলা হয়েছে। সম্মুখে কোনো বই রাখা নেই। তবে কলেজে পরীক্ষা চলায় এবং এ অল্প সময়ের মধ্যে কোথায় কোন বই রাখা হয়েছে তা সম্পুর্ণভাবে খোঁজ নিতে পারিনি। তবে জেনেছি গত সরকারের ওই বইগুলো একত্র করে লাইব্রেরিতে আড়াল করে রাখা ছিল। পরে শিক্ষার্থীরা আজকে লাইব্রেরিতে গিয়ে একত্রিত করে ঢেকে রাখা অবস্থায় বইগুলো বের করে পুড়িয়ে ফেলেছে।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)