সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বেনাপোল থেকে ময়মনসিংহগামী একটি বাসে পাওয়া একটি ব্যাগে ছিল স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, গাড়ির চাবি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও একটি আইফোন। সেই ব্যাগের প্রকৃত মালিককে শনাক্ত করে তা ফেরত দিয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী মো. হাবিবুর রহমান রনি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাগটি মালিকের হাতে তুলে দেন রনি। ব্যাগের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন ময়মনসিংহ শহরের শম্ভূগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ও শাপলা হ্যাচারির স্বত্বাধিকারী। তিনি প্রায় ৫ বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছিলেন।
রনি কৃষিতত্ত্ব বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ও বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি।
রনি জানান, শনিবার (২৩ আগস্ট) তিনি বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ঝিনাইদহ থেকে ময়মনসিংহ আসার পথে শামীম এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে যাত্রা করছিলেন। ময়মনসিংহে পৌঁছে নামার সময় পাশের সিটের নিচে পড়ে থাকা একটি ব্যাগ চোখে পড়ে তার। যাত্রীদের কেউ ভুলবশত ফেলে গেছেন ভেবে ব্যাগটি সঙ্গে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, ব্যাগটি খুলে দেখি ভেতরে একটি আইফোন, কিছু স্বর্ণালংকার, জরুরি কাগজপত্র ও ওষুধ রয়েছে। ফোনটি বন্ধ ছিল। ব্যাগে থাকা চার্জার দিয়ে চার্জ দিয়ে চালু করলেও প্রথম একদিন কোনো কল বা বার্তা আসেনি।
রনি জানান, একপর্যায়ে থানায় বিষয়টি জানানোর কথা ভাবছিলেন। অবশেষে সোমবার সকালে ফোনে একটি বার্তা এবং পরপরই একটি কল আসে। সেখান থেকেই মূল মালিককে শনাক্ত করতে সক্ষম হন তিনি।
ব্যাগ ফিরে পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন প্রবাসী আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, আমি পর্তুগালের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলাম। ভারতের পর্তুগিজ দূতাবাসে সাক্ষাৎ শেষে বেনাপোল হয়ে ময়মনসিংহে ফিরছিলাম। অসাবধানতাবশত আমার স্ত্রী বাসে ব্যাগটি ফেলে যান। ব্যাগে আইফোনসহ গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস ছিল, যা হারিয়ে গেলে বড় ধরনের সমস্যা হতো। কিন্তু একজন সৎ মানুষ ব্যাগটি ফিরিয়ে দিয়েছেন। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)