সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয় গত ১৭ আগস্ট। এতে বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও দুদিন পর, অর্থাৎ ১৯ আগস্ট থেকে নতুন করে আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া বন্ধ করে দেয় সরকার।
ফলে বিপাকে পড়েছেন আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। কমে গেছে পেঁয়াজের সরবরাহ, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) হিলি স্থলবন্দর ও আশপাশের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অল্প কিছু ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করছে। তবে তা বাজারের চাহিদার তুলনায় অনেকটাই অপ্রতুল। ফলে দাম বাড়ছে দ্রুত।
বর্তমানে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে, যা আগে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হতো। নাসিক জাতের দাম ৫৫ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ টাকায়। অন্যদিকে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বেড়ে মানভেদে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে।
হিলি বন্দরের পাইকারি ব্যবসায়ী শাকিল বলেন, আমদানি শুরু হওয়ায় বাজার কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছিল। কিন্তু নতুন আইপি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবার দাম বেড়ে গেছে। এতে ক্রেতারা যেমন ভোগান্তিতে পড়ছেন, তেমনি আমরাও সমস্যায় আছি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, সরকার হঠাৎ করে নতুন আইপি দেওয়া বন্ধ করায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। সীমিতভাবে কিছু ট্রাকে পেঁয়াজ এলেও তা দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। এজন্য দাম বাড়ছে।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৭০টি ট্রাকে প্রায় ২ হাজার ৮৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)