শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে এসে পড়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মর্টারশেলটি বাংলাদেশের ভেতরে এসে পড়ে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এর আগে, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে নিরাপত্তার কারণে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন।
তুমব্রু এলাকার বাসিন্দা ও ঘুমধুম ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দিল মোহাম্মদ ভুট্টু বলেন, মঙ্গলবারও (৩০ জানুয়ারি) সীমান্তে থেমে থেমে গোলাগুলি হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, আমরা যারা এপারে বসবাস করছি সবাই আতঙ্কে আছি, কখন কোন সময় কি হয় জানি না। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যাওয়ার জন্য স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৮-১০ দিন থেকে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তবে কী কারণে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে তা এখনও জানা যায়নি।
মিয়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাত বর্তমানে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। ক'দিন ধরেই সীমান্ত এলাকায় ভারি অস্ত্র থেকে ছোড়া গুলি এবং মর্টারশেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে আগুনের ধোঁয়া।
এর আগে, ২০২২ সালেও মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষ হয়। মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা ও মর্টারশেল বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়ে। অবশ্য মিয়ানমার সেনারা এই ঘটনার দায় চাপায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ওপর।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)