শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের দাপট কমছেই না। উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন হওয়ায় গত কয়েকদিন থেকে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে জেলাজুড়ে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টানা পাঁচ দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তীব্র শীতের কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষদের। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ঘন কুয়াশা আর শীতে অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া তীব্র শীত থেকে বাঁচতে মানুষ খুব একটা বাড়ির বাইরে যাচ্ছেন না। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সদর হাসপাতালসহ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ।
দুপুরের দিকে ঘন কুয়াশা কেটে কিছু সময়ের জন্য সূর্য উঁকি দিলেও তেমন উত্তাপ ছড়াতে পারছে না। দিনের বেলায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আবার কুয়াশা পড়তে শুরু করে।
গতকাল মঙ্গলবারও (১৯ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। তার আগের দিন সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, ১৭ ডিসেম্বর ১০ দশমিক ০ ডিগ্রি, ১৬ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, টানা পাঁচ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। কয়েকদিন ধরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)