শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারে বরিশাল ইনস্টিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজির (আইএইচটি) অন্তুরা পানুয়া নামের এক ছাত্রীর মরদেহ পাওয়া গেছে।
অন্তুরা পানুয়া পটুয়াখালীর খলিসাখালি উপজেলার অনুকূল চন্দ্র পানুয়ার মেয়ে এবং আইএইচটির ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। তার কক্ষ ভেতর থেকে আটকানো ছিল। গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল মরদেহ। তারপরও কোনো অভিযোগ পেলে অবশ্যই আমরা খতিয়ে দেখব।
জানা গেছে, এর আগে চেষ্টা করলেও আসন সংকটের কারণে ছাত্রী নিবাসে উঠতে পারেনি অন্তরা পানুয়াস। সর্বশেষ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আইএইচটির ইন্সট্রাক্টরের মাধ্যমে তৃতীয় শ্রেণির কোর্য়াটারের একটি কক্ষে ওঠেন। রাতে কক্ষে একাই ছিলেন অন্তরা।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, আইএইচটির একটি কক্ষে ঝুলন্ত মরদেহের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কক্ষের দরজা ভেঙে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আত্মহত্যা বলেই প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে।
বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, আইএইচটির এক শিক্ষকের সঙ্গে সর্ম্পকে জড়িয়েছিলেন মারা যাওয়া শিক্ষার্থী। সেখানে সুখী না থাকায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আইএইচটির অধ্যক্ষ মানষ কৃষ্ণ কুন্ড বলেন, হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়ার্টার শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় না। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী কীভাবে সেখানে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)