সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামে শহীদ পরিবারের স্বজন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত যোদ্ধারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এই রায় ৫ আগস্টের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক। একই সঙ্গে তারা রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দুটি অভিযোগে শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও মৃত্যুদণ্ড পেয়েছেন। রাজসাক্ষী হওয়ায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় শহীদ ওয়াসিমের বাবা শফি আলম বলেন, এ রায়ে দেশবাসীর মতো আমিও আনন্দিত। তবে শুধু হাসিনা নয়— যারা হত্যা, হামলা ও নির্দেশনায় জড়িত ছিল, সবাইকে বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর মা কহিনূর আক্তার বলেন, আমার সন্তান আর ফিরবে না। কিন্তু হাসিনার ফাঁসির রায় শুনে মনে কিছুটা শান্তি পেয়েছি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত এ রায় কার্যকর না হচ্ছে, ততক্ষণ সত্যিকারের শান্তি মিলবে না। হাসিনাকে দেশে এনে যেন ফাঁসি কার্যকর করা হয়, সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে এই দাবি জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমার সন্তান শান্ত একটি ন্যায়ভিত্তিক দেশের স্বপ্ন দেখত। সেই স্বপ্ন যেন পূরণ হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রলীগের গুলিতে চোখ হারানো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ হোসেন বলেন, রায়ের দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি যারা মাঠে হামলা ও গুলি চালিয়েছে, যেমন— চট্টগ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আজিম রনি, যুবলীগ নেতা বাবরসহ সব হোতাকে দেশে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন, পুলিশ, বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলি ও হামলায় ১৪ জন নিহত এবং ৯০০-এর বেশি মানুষ আহত হন। তাদের মধ্যে অনেকে স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)