রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভোরে সোনালী আলোয় রোদ ছড়িয়ে সূর্য উঠলেও চারদিন ধরেই অব্যাহত রয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। রোদ উঠলেও রাত থেকে সকাল পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে হাড়-কাঁপানো কনকনে শীত। চারদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহের দাপট থাকলেও সূর্য উঠে যাওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছে জনজীবনের কর্মচাঞ্চল্য।
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত চারদিন ধরে রেকর্ড হচ্ছে ৭ থেকে ৮ এর ঘরে তাপমাত্রা। এর মধ্যে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ৮.০, বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ৮.০ ও গত বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। এ তাপমাত্রায় একদিন মাঝারি ও তিনদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে উত্তরের হিমাঞ্চল জেলায়।
তাপমাত্রা রেকর্ডের এই তথ্য জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরে সূর্য দেখা গেলেও কনকনে শীতে বেড়েছে ভোগান্তি। তবে সকালে রোদ দেখা দেওয়ায় স্বস্তি মিলেছে কাজকর্মে। বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ নিত্যদিনের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন পর আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতভর প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভব হয়েছে। এ অঞ্চলে দিনের তুলনায় রাতে শীতের তীব্রতা বেশি। ভোর সকালে সূর্য উঠে যাওয়ায় কাজে যেতে পারছেন সবাই।
জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, গত চারদিন দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। রোববার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ সেলসিয়াস। গত চারদিন ৭ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়ে জেলায় বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। মাঘের শেষ দিন পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)