শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গাইবান্ধায় টিসিবির পণ্য নিতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের কিল ঘুষিতে মোজাহিদ ইসলাম (৫৫) নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেলে গাইবান্ধার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ঘটে এ ঘটনা। মারধরের ঘটনার ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
আহত মোজাহিদ ইসলাম রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের বড় মহানন্দপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। তার স্ত্রী রুমা বেগমের নামে একটি টিসিবির কার্ড রয়েছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার কার্ড নিয়ে পণ্য নিতে গেলে রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেনের হামলার শিকার হন দিনমজুর মোজাহিদ ইসলাম। এসময় তিনি মোজাহিদকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, চেয়ারম্যান মোসাব্বির পরিষদে থাকা বেশকিছু লোকজনদের বের করে দিচ্ছেন। এসময় গেটের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা মোজাহিদকে লক্ষ্য করে মাথায় ও বুকে-পিঠে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন চেয়ারম্যান। শুধু তাই নয়, মোজাহিদকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বের করে দেন।
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোজাহিদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকেই রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির কার্ডের মালামাল দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু বিকেল ৩টার দিকে প্রায় ৫০ থেকে ৫৫ জন কার্ডধারীকে পণ্য দিতে সময়ক্ষেপণ করেন টিসিবির সংশ্লিষ্ট ডিলার। পরে চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন ও সংশ্লিষ্ট ডিলারের পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু অপেক্ষা করেও বিকেল ৫টা পর্যন্ত পণ্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে উপস্থিত কার্ডধারীদের মাঝে হৈ চৈ শুরু হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান মোসাব্বির।
মোজাহিদ ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কোনো ঘটনা ছাড়াই চেয়ারম্যান অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালান। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা বলেন, টিসিবির পণ্য নিতে গিয়ে চেয়ারম্যানের হামলার শিকার মোজাহিদ ইসলামের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)