শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিন ভাইবোনকে হত্যার অভিযোগে ২০ বছর আগে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় দায়ের করা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা এলাকার আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম (৭০) ও ইউসুফ ওরফে বাইট্টা ইউসুফ (৭০)। মামলায় অন্য আসামি মো.নাছির ও ফয়েজ মুন্না র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে আগেই তাদের অব্যাহতি দিয়েছিলেন আদালত।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এম. এ. ফয়েজ বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তিন ভাইবোনকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি কাশেম ও ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে মৃত্যুদণ্ডের সাজার পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ৩৬ শতক জমি নিয়ে নিহত সাইফুল, তার ভাই আলমগীর ও বোন মনোয়ারার সঙ্গে আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরোধ ছিল। ২০০৪ সালের ২৯ জুন নগরের বালুচরা এলাকায় সাইফুলের বাড়িতে গিয়ে হামলা করেন আসামিরা। আসামিদের দেখে মনোয়ারা বেগম চিৎকার দিলে তাকে প্রথমে গুলি করেন ফয়েজ মুন্না। এতে মনোয়ারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। বোনের চিৎকার শুনে আলমগীর ঘর থেকে বের হলে আসামি ইউসুফ ফয়েজ মুন্নাকে গুলি করার নির্দেশ দেন। নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে আলমগীরকে গুলি করেন মুন্না। আলমগীর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান। এ সময় ঘর থেকে সাইফুল বের হলে তাকেও গুলি করে হত্যা করে গিট্টু নাছির।
এ ঘটনায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানায় সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)