শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দেশীপাড়া এলাকায় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি প্রার্থী রাশেদুজ্জামান মাসুমের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে শর্টগান উঁচিয়ে প্রতিপক্ষকে জমির খুঁটি তুলে ফেলার জন্য ওই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নিজের ওই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে দাবি করে অভিযুক্ত মাসুম বলেছেন, বিরোধপূর্ণ জমিটি তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হারুন অর রশিদ জানান, দেশিপাড়া মৌজায় তাদের নানা জমির উদ্দিন মুন্সি ও নানী শুকুর জান বিবি ১ একর ৪২ শতাংশ জমির মালিক। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় ফজল হাজীর ছেলে মাসুম (৪৫) ও বুলু হাজীর ছেলে সাইম (২৫) এবং তাদের পরিবারের লেকজন দখল করে রেখেছে। এ বিষয়ে ইতোপূর্বে স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের জানিয়ে আপোষ/মীমাংসার চেষ্টা করলেও মাসুম গং তাদের কথা কর্ণপাত করেনি। এমতাবস্থায় ২০১৯ সালে গাজীপুর সদরের সহকারী কমিশন (ভূমি) অফিসে বিবিধ মিস মোকাদ্দমা দায়ের করি। এতে আমাদের পক্ষে রায়ও হয়।
এমতাবস্থায় শনিবার সকালে আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন নিয়ে সার্ভেয়ার দ্বারা ওই জমি মেপে খুঁটি পুততে গেলে তারা সশস্ত্র অবস্থায় আমাদের জমিতে ঢুকে জমি মাপের কাজে বাধা দেয়। তারা কয়েকজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক নিয়ে আমাদের জমিতে পোঁতা মাপের খুঁটি তুলে ফেলতে এবং জমি থেকে চলে যেতে বলে। এক পর্যায়ে মাসুম বলে ‘খুঁটি তোল নইলে গুলি করমু’। সে আমার বুকে-মাথা শর্টগানের নল লাগিয়ে ধরে। এ সময় আমরা তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে কিল-ঘুষি ও হতাহাতি করে। আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা অস্ত্র উঁচিয়ে আমাকে খুন করার কিংবা মামলায় জড়িয়ে জেল খাটানোর হুমকি দিয়ে আমাদের তাড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে রাশেদুজ্জামান মাসুম বলেন, আমি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, আমি পৈত্রিক ওয়ারিশমূলে ওই জমির মালিক। আমার জমি জবরদখল করতে এসেছিল, আমার সেফটি বেল্টের (নিরাপত্তা) জন্য আমার লাইসেন্স করা অস্ত্রটা গাড়ি থেকে আমার হাতে করে নিয়া আমি ওইখানে গিয়েছি। যারা আমার জমিতে অবৈধভাবে আসছিল, তারা ওই জমির মালিক না। আমরা ক্রয়সূত্রে ওই জমির মালিক। আমি থানায় একটা অভিযোগও করছি। তিনি দাবি করেন, ১২ বোরের শর্টগানটি লাইসেন্স আছে। ওই লাইসেন্স করা অস্ত্রটি নিয়েই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সদর থানার ওসি সৈয়দ রাফিউল করীম বলেন, শর্টগান নিয়ে জমি মাপজোখ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি নজরেও এসেছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)