শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
টানা ৩৭ দিন পর স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজেছে চুয়াডাঙ্গা। এক মাসের বেশি সময় ধরে তীব্র তাপদাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছিলো। ত্রাহি অবস্থার মধ্যে জেলার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অতি তীব্র তাপপ্রবাহের পর বৃষ্টিতে ভিজে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আজ সোমবার বেলা দুপুর ৩টার দিকে হঠাৎ করে আকাশে কালো মেঘ দেখতে পাওয়া যায়। এর কিছুক্ষণ পর ৩টা ৩৭ মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে স্বস্তির বৃষ্টি। বৃষ্টির সময় শিলার পরিমাণ ছিলো এক সেন্টিমিটার। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী এই বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলা পড়েছে।
এক মাসেরও অধিক সময় ধরে জেলার উপর দিয়ে তাপদাহ বয়ে গিয়েছে। মাঝারি থেকে তীব্র এরপর অতি তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো। বৃষ্টির জন্য জেলাবাসী এস্তেস্কার নামাজও আদায় করেছিলো। তারপরও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। অবশেষে আজ বিকেলে বৃষ্টিতে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছে জেলার মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মার্চ মাসের ২৯ তারিখ থেকে চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। পুরো এপ্রিল মাস ছিল মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে গত ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি ও পরদিন ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা স্বাধীনতার পর থেকে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
কুলচারা গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ‘যাক, কিছুটা হলেও মাঠের ক্ষেতগুলো ভিজেছে। বেশ কিছুদিন ধরে পুড়ে যাচ্ছিলো। সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। আরও কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার দরকার ছিলো। তাহলে মাটি সম্পূর্ণ ভাবে নরম হতো। সবজি ক্ষেতগুলো বেঁচে যেতো। আশা করি, রহমতের বৃষ্টি আরও হবে।’
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর রহমান সমকালকে বলেন, আজ সকাল ৯টায় জেলাতে ৩০ ডিগ্রি, দুপুর ১২টায় ৩৪.৫ ডিগ্রি, ৩টায় ৩৬.৯ ডিগ্রি এবং সন্ধ্যা ৬টায় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৪ শতাংশ। আর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিলো ২৪ মিলিমিটার। বৃষ্টি শুরু হয় ৩টা ৩৭ মিনিটে এবং শেষ হয় ৫টা ১৫ মিনিটে। বৃষ্টির সময় শিলার পরিমাণ ছিলো এক সেন্টিমিটার।
গতকাল রবিবার জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিলো দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)