শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
চাচাতো বোনের সঙ্গে ছিল প্রেমের সম্পর্ক, গোপনে করেছিলেন বিয়েও। ওমর ফারুক সৌরভের পরিবার মেনে নিলেও, মানতে পারেননি মেয়ের পরিবার। সেই ক্ষোভেই সৌরভকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার পরিবারের।
ময়মনসিংহ সদরের মনতলা এলাকায় ব্রিজের নিচে লাগেজে খণ্ডিত দেহ ও তার পাশ থেকে বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধারের পর রোববার (২ জুন) বিকেলে মেলে পরিচয়। খবর পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন পরিবারের সদস্য ও সৌরভের বন্ধুরা। হত্যার ঘটনায় রাতেই হয়েছে মামলা।
স্বজনরা জানান, প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওমর ফারুক সৌরভ ও তার চাচাতো বোন ইসরাত জাহান ইভার। গত ১২ মে ঢাকায় যান ইভা। পরে সৌরভের এক বন্ধুর বাসায় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন সৌরভ-ইভা। এরপর নিজের বাসাতেও নিয়ে গিয়েছিলেন সৌরভ। ওইদিনই ইভা চলে আসেন ময়মনসিংহে। দুই দিন পর ময়মনসিংহে এসে চাচা-চাচিকে বুঝানোর চেষ্টা করেন সৌরভ। কিন্তু না মেনে উল্টো তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
সৌরভের মায়ের অভিযোগ, ইভাকে কানাডা পাঠিয়ে দেওয়ার পর তার ছেলেকে ডেকে এনে হত্যা করেছে তারই আপন চাচা। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মাইন উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারাটি গ্রামের বাসিন্দা ইউসুফ আলীর ছেলে ওমর ফারুক সৌরভ। সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন তারা। সৌরভ ঢাকার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছে পরিবার।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)