শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এক মাস আগে ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেন সাজেদুল ইসলাম (২১) ও রিয়া খাতুন (১৯)। ছেলের পরিবার এই বিয়ে মেনে নিলেও, মেনে নেননি মেয়ের পরিবার। এক মাস স্বামীর বাড়িতেই ছিলেন রিয়া।
গত রোববার (৩০ জুন) এক আত্মীয় সাজেদুলের বাড়িতে গিয়ে রিয়া ও সাজেদুলকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনার পরই সাজেদুল ও রিয়া একসঙ্গে বিষপান করেন। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পর রিয়ার মৃত্যু হয়। সাজেদুল এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। রিয়া সাহাপুর গ্রামের আজিজতলা এলাকার লেরু মোল্লার মেয়ে। আর সাজেদুল চরগড়গড়ি গ্রামের আজতব আলীর ছেলে।
সাজেদুলের স্বজন ও প্রতিবেশীরা জানান, গত রোববার দুপুরে রিয়ার চাচি শাশুড়ি ভানু বেগম সাজেদুলের বাড়িতে যান। সেখানে তিনি রিয়াকে নানা কটুক্তিমূলক কথা বলেন। সাজেদুল বাড়ি ফেরার পর এ বিষয়টি জানিয়ে রিয়া কান্নাকাটি করেন। অপমানে আবেগতাড়িত হয়ে দুইজন একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। সাজেদুল দোকান থেকে দুই বোতল কীটনাশক কিনে এনে তা পান করেন।
পরিবারে লোকজন টের পেয়ে তাদের প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই রোববারে রিয়ার মৃত্যু হয়। সাজেদুল আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সাজেদুলের বাবা আজতব প্রামাণিক বলেন, রোববার সকালে আমি মাঠে কাজে যাই। আমার স্ত্রী অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। এই ফাঁকে এসব ঘটনা ঘটে গেছে। রিয়াতো মারা গেছে এখন সাজেদুলের অবস্থাও ভালো না।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। এ খবর জানার পর থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)