শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
আষাঢ়ের শেষ দিকে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে বরিশাল জেলার নদ-নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ছে বড় সাইজের ইলিশ। মেঘনাসহ জেলার কীর্তনখোলা, কালাবদর ও আড়িয়াল খাঁ নদীতে ইলিশে সরবরাহ বেড়েছে নগরীর পোর্টরোড মৎস্য মোকামে। তাই নদীতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে বরিশাল জেলার ৭৫ হাজার জেলে।
পোর্ট রোডের লিয়া মৎস্য আড়তের আড়তদার রুবেল হোসেন বলেন, বর্তমানে বড় সাইজের ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে। গত কয়েক দিন ধরে মোকামে গড়ে ৬০ মণ করে ইলিশ সরবরাহ হয়েছে। এসব ইলিশের মধ্যে এলসি (৬০০-৯০০ গ্রাম) আকারের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ৫শ টাকা থেকে ১ হাজার ৬শ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক কেজি আকারের ইলিশ ১ হাজার ৭শ থেকে ১ হাজার ৯শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে।
কীর্তনখোলা নদীর জেলে রহমান মিয়া বলেন, বৃষ্টি হওয়ায় বড় আকারের ইলিশ ধরা পরছে। তবে তা সংখ্যায় খুব বেশি না। বৃষ্টি থাকলে ইলিশ শিকার আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। একই বক্তব্য পাওয়া গেছে আঁড়িয়াল খা ও মেঘনা নদীর জেলেদের সঙ্গে কথা বলে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক বশির আহমেদ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে দিনের অধিকাংশ সময় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বরিশাল জেলা মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি ইলিশ শিকারের সুসময়। তাই এ সময়ে মেঘনাসহ অন্য নদীতে বড় ইলিশও ধরা পড়ছে। পোর্টরোড মৎস্য মোকামেও সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, কঠোর অবস্থানে গিয়ে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম সফল করা হয়েছে। পাশাপাশি আষাঢ়ে বৃষ্টি হওয়ায় বড় সাইজের ইলিশ ধরা পড়ছে। ইলিশ শিকারের হার আরও বাড়বে। তাই বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৪ লক্ষাধিক জেলে ইলিশ শিকারে নদী চষে বেড়াচ্ছে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)