শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার কমে আজ সকাল থেকে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে এখনও পানি বন্দী হয়ে আছে জেলার ৭ উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে আছে দূর্গত এলাকার ২৫৯টি সরকারি প্রাথমিক ও ৮৮টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বন্যার পানির কারণে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ২৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ৮১টি, মাদারগঞ্জে ৮১, ইসলামপুরে ৩৮, মেলান্দহে ৩৩, সরিষাবাড়িতে ১৯, বকশিগঞ্জে ৩ ও জামালপুর সদর উপজেলায় ৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানির জন্য পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানা গেছে, এবারের বন্যার পানির ফলে জেলা ৮৮টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এরমধ্যে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ২৫, ইসলামপুরে ২৯, মাদারগঞ্জে ৯, সরিষাবাড়িতে ৯, বকশিগঞ্জে ১৫ ও মেলান্দহের ১টিতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন খান জানান, বন্যার পানির জন্য জেলার ২৫৯ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। পানি কমে গেলে বিদ্যালয়গুলোকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পাঠদান উপযোগী করে চালু করা হবে বলে জানান তিনি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোজাম্মেল হাসান জানান, বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ার ফলে ৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এসব বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ থাকার পাশাপাশি ৬৪টি বিদ্যালয়ের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। পানি কমে গেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও পাঠদান শুরু হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)