বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমন্বয়কদের একাংশ আদালত, ক্যাম্পাস ও রাজপথে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ পদযাত্রা কর্মসূচির অংশ হিসেবে চোখে-মুখে লাল কাপড় বেঁধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালত ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ এবং বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মুখে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের উত্তর পাশে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভের শুরুতে শিক্ষার্থীরা জেলা জজ আদালতের সম্মুখে প্রবেশ করতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে বাঁধা দেয় এবং তাদেরকে সরিয়ে সড়কের একপাশে নিয়ে আসে। সেখানে মুষলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবস্থান নেয় কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুনঃ ১৪ দিন পর দেশে চালু হলো ফেসবুক
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, ‘আমার খাও, আমার পর, আমাকে গিয়ে গুলি কর’; ‘তোমার কোটা তুমি নাও, আমার ভাইকে ফিরিয়ে দাও’; ‘আমার ভাই মরল কেন, আমার বোন মরল কেন, জবাব চাই’; ‘দিয়েছিতো রক্ত, আরও দেব রক্ত’; ‘জেগেছেরে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’; ‘কোটা না মেধা, মেধা, মেধা ’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সরকারি বিভিন্ন বাহিনী, ছাত্রলীগ-যুবলীগ গুলি করে ছাত্র ও সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। আর পুলিশ নিরীহ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ব্যারিকেড ভেঙে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘটনাস্থলে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও স্পেশাল পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার্থীরা যেন কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সেজন্য তাদের শান্ত রাখতে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. ইয়াসির আরাফাত, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম ও ডিবি ওসি এনামুল হক চৌধুরী।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরী বলেন, আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন করার জন্য বলেছি। তারা যেন কোনো ধরণের বিশৃঙ্খলা না করে এবং জনগণের জান-মালের ক্ষতি না করা এসব বিষয়ে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে জেলা পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, গত ১৯ জুলাই চাঁদপুর, হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের ৭টি মামলায় এখন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের ৭৭ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। ৩০ জুলাই এদের মধ্যে একজনকে একদিনের রিমান্ড এবং পাঁচজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদেশ দিয়েছে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)