সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকৃতির ঋতুচক্রে এখন বাংলা সনের ভাদ্র মাস। শীত আসতে আরও অনেক দেরি। তবে হঠাৎ করেই ভাদ্র মাসের মাঝামাঝিতে দেশের উত্তরের হিমপ্রবণ জেলাখ্যাত পঞ্চগড়ে দেখা মেলেছে ঘন কুয়াশা। এ কুয়াশায় যেন জানান দিচ্ছে এ জেলায় শীতের আগমনী বার্তা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে ঘন কুয়াশা। ভোর ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে।
ভোরে কুয়াশার শুভ্রতায় দেখা মেলে জেলার গ্রাম অঞ্চল। সবুজ ধানের চারা গাছের ডগায় ও ঘাসের ওপর ঝরতে দেখা যায় শিশির বিন্দু। ভোরের আলো বাড়তে থাকলে ঝরা শিশির বিন্দু চকচক করে ওঠে। সেই শিশির ঝরা ঘাস মাড়িয়ে চাষিদের যেতে দেখা যায় আমনের সবুজ ক্ষেতে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, আশ্বিন মাসে মৌসুমী বায়ু কম সক্রিয় থাকায় এবং উত্তরীয় বায়ুর কিছুটা প্রভাব থাকায় শেষ রাতে শীত নেমে এলে ঠান্ডা অনুভূত হয়। বিশেষ করে মৌসুমী বায়ু যখন বাংলাদেশের ওপর আর সক্রিয় থাকবে না, তখন হালকা ধরনের শীত পড়বে।
স্থানীয়রা জানায়, উত্তরের জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘার সন্নিকটে থাকায় এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে অন্যান্য জেলার আগেই। হিমালয়ের প্রবাহমান হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশার চাঁদর ঢেকে যাওয়ায় দেখা মিলছে দোরগোড়ায় শীত।
সকালে আসাদ আলী ও আবদুল বারেক বলেন, ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় কোনো কুয়াশা ছিল না। কিন্তু নামাজ শেষে দেখি কুয়াশা। সে কুয়াশায় অনুভব হচ্ছে হালকা শীত। মনে হচ্ছে শীত এসে গেল। অথচ দিনের বেলায় বেশ গরম।
পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ জানান, সকালে হঠাৎই চারপাশ কুয়াশায় ঢেকে যায়। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত বেশ কুয়াশা ছিল। আজ বুধবার ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)