বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১


কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম-চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা

কুড়িগ্রাম থেকে

প্রকাশিত:১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৭

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দুধকুমার নদের ভাঙন রোধে সরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকায় নিজ উদ্যোগে প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ, বার বার সরকারি দপ্তরে যোগাযোগ করেও কোনো সারা পাননি তারা।

এ অবস্থায় নিজেদের চাঁদার টাকায় প্লাস্টিকের বস্তা কিনে বালু ভরে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমারের শাখা কালজানি নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কেউ প্লাস্টিকের বস্তায় বালু ভরছেন, কেউ নদীর পাড়ে ফেলছেন। এভাবে ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি রক্ষার চেষ্টা করছেন ভাঙন কবলিতরা। গত ৪ মাস ধরে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সীমান্তবর্তী শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামে দুধকুমার নদের ভাঙন চলছে। এরই মধ্যে বিলীন হয়েছে তিন শতাধিক ঘর-বাড়িসহ কয়েক একর ফসলি জমি। এ অবস্থায় ভাঙন কবলিতরা জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডে বার বার যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। পরে কোনো উপায় না পেয়ে নিজেদের অর্থ দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন রোধ করে সম্পদ রক্ষার চেষ্টা করছেন।

স্থানীয়দের দাবি, তাদের এ চেষ্টার পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সামান্য সহযোগিতা পেলে বন্ধ হবে ভাঙন। আর এতেই রক্ষা পাবে ফসিল জমিসহ ঘর-বাড়ি।

উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ ধলডাঙ্গা এলাকার মনছেদ আলী বলেন, আমাদের এলাকার ভাঙনরোধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আমরা কাজ করছি। গ্রামবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে প্লাস্টিকের বস্তা কিনে বালু ভরে নদীতে ফেলছি। তারপরেও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।

ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম ফরিদুল হক বলেন, এই এলাকার দুধকুমার নদে গত ২-৩ মাস ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রায় ৩শ’র ওপর বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। কয়েকশ হেক্টর ফসিল জমি নদে চলে গেছে। এখানকার খেটে খাওয়া সীমান্তবাসীর জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান শিলখুড়ি এলাকায় দুধকুমারের ভাঙনসহ অন্যন্য নদ-নদীতেও ভাঙনের কথা স্বীকার করে বলেন, বরাদ্দ কিংবা অনুমতি না থাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না তারা। সার্বিকভাবে কৃষি জমি ও সামান্য বাড়িঘরের জন্য কাজ করার অনুমতি পাচ্ছেন না। সরকারি কোনো স্থাপনা হলে কিছুটা কাজের অনুমতি পান বলে জানান তিনি।

জেলায় গত চার মাসে দুধকুমারসহ ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তার ভাঙনে বসতভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে সহস্রাধিক পরিবার। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:৫৮ ভোর
যোহর ১১:৪৫ দুপুর
আছর ০৩:৩৬ বিকেল
মাগরিব ০৫:১৫ সন্ধ্যা
এশা ০৬:৩১ রাত

বৃহঃস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪