সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, আমরা বৈষম্যহীন করনেট চাই। সবার জন্য একই রেট করতে চাই। কাউকে কমালাম কাউকে বাড়ালাম, এটা হবে না। দীর্ঘদিন ধরে যারা কর অব্যাহতি পাচ্ছেন, আমরা আর চাই না। আমরা লাইবেলিটিকে সহজ করবো এবং বৈষম্যহীন করনেট করবো।
রোববার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সম্প্রচারিত প্রাক-বাজেট আলোচনা ২০২৫-২৬ : বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল আউয়াল মিন্টু, মীর নাসির হোসেনসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর জিডিপি অনুপাত কম এটা সত্য। সমস্যা হচ্ছে কমপ্লাইন্স কর দাতাদের। যে কারণে কর হার বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এই জায়গা থেকে বের হতে হবে। কর জিডিপি অনুপাত কমের আরও একটি কারণ কপ্লাইন্স লেভেল খুবই কম। আমাদের এক কোটি ১৪ লাখ করদাতা রয়েছে। যাদের মধ্যে ৪৫ লাখ রিটার্ন দেয়। যাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশের শূন্য করে রিটার্ন দেয়। আবার ৮০ লাখ রিটার্ন দেয় না। যারা দেয় না, তাদের চিহ্নিত করতে পারি নাই। এটা সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যর্থতা।
তিনি আরও বলেন, আমরা অটোমেশনের পক্ষে। আমরা সেদিকে আগাচ্ছি। অমরা অটোমেশনকে ফোকাস করছি। আগামীতে পেপার রিটার্ন নেব না। কর্পোরেট রিটার্নও অটোমেশন হচ্ছে। সিঙ্গেল উনডো প্রজেক্ট চালু করে দিয়েছে, যা অনেক দিন বন্ধ ছিল। এখানে আমদানি-রপ্তানির ১৯টি রেগুলেটর অথরিটি সার্টিফিকেট জড়িত। এটা অনলাইনে চালু করে দিয়েছে। বন্ডও অটোমেটেড হচ্ছে।
এক সময় কর হার অনেক বেশি ছিল উল্লেখ করে আবদুর রহমান বলেন, করহার এক সময়ে ৬০ শতাংশ ছিল সেটা কমতে কমতে ২৫-৩০ শতাংশ হয়েছে। কর্পোরেট কর হারও ৪৫ থেকে কমতে কমতে ২০ শতাংশ হয়েছে। কর্পোরেট ও ব্যক্তি কর হার আর কমানোর সুযোগ নেই। আপনারা উন্নত দেশে দেখেন এর চেয়ে কম পাবেন না। অন্যদিকে ভ্যাটের মূল শক্তি আমরা কেটে দিয়েছি, একেক সময় একে রেট করে। ভ্যাট হবে সব সময় এক রেট। ভবিষ্যতে মূল রাজস্ব আসবে ভ্যাট ও আয়কর থেকে। কাস্টমস থেকে আমাদের রাজস্ব প্রত্যাশা করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, আমাদের একটি কর অবকাশ নেওয়ার সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। আমরা যে পরিমাণ কর আদায় করি, তার সমপরিমাণ কর অব্যাহতি দেই। আমরা এই সংস্কৃতি থেকে বেরুতে চাই। আমরা বৈষম্যহীন কররেট চাই। সবার জন্য একই রেট করতে চাই। কাউকে কমালাম কাউকে বাড়ালাম এটা হবে না। দীর্ঘদিন ধরে যারা কর অব্যাহতি পাচ্ছেন, আমরা আর তাদের দিতে চাই না। আমরা লাইবেলিটিকে সহজ করবো এবং বৈষম্যহীন কর রেটা করবো।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)