রবিবার, ১০ আগস্ট ২০২৫, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, গত বছরের ১৪ আগস্টের পর থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক ডলারও বিক্রি করেনি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৩৬৫ দিন’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তফিজুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
গভর্নর বলেন, ‘আমরা বুঝেছিলাম, মূল্যস্ফীতি কমাতে হলে বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা জরুরি। তাই নীতি ছিল—একটি ডলারও বিক্রি করবো না। গত বছরের ১৪ আগস্ট থেকে আজ পর্যন্ত সেই নীতি কঠোরভাবে মেনে চলা হয়েছে।’
বিদেশি ব্যাংকের লাইন অব ক্রেডিট (এলসি) পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর সময় আন্তর্জাতিক ব্যাংকারদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে ২০০-র বেশি বিদেশি ব্যাংক এলসি বন্ধ করে দিয়েছিল। ‘আমরা তাদের বলেছিলাম, এখানেই থামুন, আর বন্ধ করবেন না। যদি উন্নতি না হয়, তখন ব্যবস্থা নিন। এরপর আমরা কখনও বকেয়া রাখিনি এবং রাখবোও না।’
তিনি আরও জানান, তখন ২.৫ বিলিয়ন ডলার বকেয়া ছিল। ধাপে ধাপে তা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় বেড়ে যাওয়ায় এখন প্রত্যেক বিদেশি ব্যাংক আগের অবস্থায় ফিরেছে, এমনকি কেউ কেউ লাইন অব ক্রেডিটও বাড়িয়েছে।
দুবাইভিত্তিক এগ্রিগেটরদের বিষয়ে গভর্নর বলেন, ‘তাদের স্পষ্ট করে জানানো হয়েছিল—আমাদের নির্ধারিত ১২২ টাকার রেটে ডলার বিক্রি করতে হবে, নইলে তাদের কাছ থেকে ডলার কেনা হবে না। তারা চাইলে ডলার ধরে রাখতে পারে, কিন্তু আমরা জানি পাঁচ থেকে সাত দিনের বেশি তারা রাখতে পারবে না।’
গভর্নরের মতে, এসব পদক্ষেপ দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)