শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রতিবেশী ভারত নিত্যপণ্য চিনি ও পেঁয়াজ বাইরের দেশে রফতানি করবে না বলে সিদ্ধান্ত নিলেও এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার আশা করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। রমজানকে সামনে রেখে প্রতিবেশী দেশ থেকে এই দুটি নিত্যপণ্য আনা যাবে এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভোক্তা পর্যায়ে বিপণন করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের যে নিষেধাজ্ঞা ছিল যে চিনি ও পেঁয়াজ কোনো পার্শ্ববর্তী দেশকে দেবে না, সেখানে তারা একটু রিল্যাক্স (শিথিল) করেছে। তারা আমাদের আবেদনটা সহানুভূতি নিয়ে দেখছে। আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি, রমজানের আগেই আমরা একটা ইতিবাচক সাড়া পাব। সেই চিনি ও পেঁয়াজ আমরা টিসিবির মাধ্যমে এনে বিপণন করতে পারব।
২০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ভারত দিতে পারবে এমন আশ্বাসের কথা জানিয়ে টিটু বলেন, আমাদের চাহিদা আরেকটু বেশি। আমরা ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ ও এক লাখ টন চিনি চেয়েছি। তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন। সামনে তাদের নির্বাচন, তাদের ভোক্তাদের কষ্ট দিয়ে তো আমাদের দেবে না। যতটুকু সহনীয়, ততটুকু তারা দেবে।
চারটি পণ্যের শুল্ক কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাল হচ্ছে খাদ্য অধিদফতরের। চালের বাজার, মজুদ ও বিপণনের দায়িত্ব খাদ্য অধিদফতরের। আর কৃষিপণ্যের বাজারের দায়িত্ব কৃষি বিপণন অধিদফতরের। প্রতিদিন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা কিছু কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ, খুচরা পর্যায়ে যৌক্তিক মূল্য ও ঢাকা মহানগরীতে পাইকারি বাজার দর প্রকাশ করে।
চার মন্ত্রণালয় একসঙ্গে বসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)