বৃহঃস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১
ঈদ-উল-ফিতরের আগে এপ্রিল মাসে দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছিল। তবে বছরের প্রথম দুই মাসের তুলনায় তা ছিল কম।
এ বছর এপ্রিলে রেমিট্যান্স প্রবাহের পরিমাণ ছিল ২.০৪ বিলিয়ন ডলার, যা মার্চ থেকে মাত্র ২.৩৫% বেড়েছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, ঐতিহ্যগতভাবে, ঈদের সময় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে ঈদের সময় প্রবাসী আয়ের উচ্চ প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও এপ্রিলে রেমিট্যান্সের ধরণ অন্যান্য মাসের মতো ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাংক ম্যানেজার বলছেন, আগের বছরের মতো এবারে প্রবাসী আয়ের তেমন কোনো বৃদ্ধি নেই।
এছাড়া কেউ কেউ রেমিট্যান্সের সামান্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মার্কিন ডলারের জন্য নির্বাচিত ব্যাংকের দেওয়া তুলনামূলক উচ্চ বিনিময় হারকে চিহ্নিত করেন।
২০২৩ সালের এপ্রিলের তুলনায়, এ বছরের এপ্রিলের রেমিট্যান্স প্রবাহ ২১.৩% বেশি ছিল।
তথ্য বলছে, এটি ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৫.৫৯% কম ও ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় ৩.৩১% কম।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য দেখায়, প্রবাসী বাংলাদেশীরা মার্চ মাসে দেশে ১.৯৯ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে, যা ফেব্রুয়ারির ২.১৬ বিলিয়ন ডলার ও জানুয়ারিড় ২.১১ বিলিয়ন ডলারের থেকে কম।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের মূল্যের অবমূল্যায়নের কারণে প্রবাসীরা কষ্টার্জিত অর্থ দেশে ফেরত পাঠাতে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।
রেমিট্যান্সের বৈধ প্রবাহে হুন্ডি এখনও একটি বড় বাধা, যা বাংলাদেশ ব্যাংক ভাঙতে ব্যর্থ হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, এপ্রিলের ৩০ দিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে ২১১.২৭ মিলিয়ন ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৯৭.২৩ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭২৮.০৮ মিলিয়ন ডলার ও বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬.৪৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)