বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বৃষ্টির অজুহাতে বেজায় চড়েছে সবজির বাজার। ৬০ টাকার কমে কোনো সবজি মিলছে না। কয়েকটি সবজির দর ইতিমধ্যে শতক ছাড়িয়েছে, অন্যগুলো রয়েছে শতকের ঘরে। এছাড়া আবারও ৩০০ টাকা অতিক্রম করেছে কাঁচা মরিচের দাম, ঢাকার বাইরে কোথাও কোথাও ৪০০ টাকাও ছুঁয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন- বন্যা ও ভারী বৃষ্টির কারণে রাজধানীতে সবজির সরবরাহ কমেছে। উৎপাদনও ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন, করলা ও বরবটির মতো নিত্যব্যবহার্য ১০টির বেশি সবজির দাম এখন ১০০ টাকার ওপরে। এর মধ্যে বাজার ও মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০-১৪০ টাকা এবং বরবটি ও কাঁকরোল ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। করলার দাম নেওয়া হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা। গাজর, শসা, ধনেপাতা ও পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার ওপরে। এছাড়া ঝিঙে ও ঢ্যাঁড়সের দামও ১০০ টাকার আশপাশে।
মাসখানেক আগে রাজধানীর বাজারগুলোতে বরবটির দাম ছিল ৪০-৫০ টাকা। এর দুই সপ্তাহ পরে দাম বেড়ে দিগুণ হয়। অর্থাৎ ১০০-১২০ টাকা। এখনো সেই দামেই বাজারে বরবটি বিক্রি হচ্ছে। গত ১৫ দিনে বেগুনের দাম কেজিতে ৪০-৬০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০-১৪০ টাকায়। করলায় ৪০-৬০ টাকা, টমেটোতে ৬০-১০০ টাকা এবং কাঁকরোল ও ঝিঙের কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন- সরবরাহ ঠিক থাকলে এসব সবজির দাম ৬০-৮০ টাকার মধ্যে থাকত।
এদিকে রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম এখন চড়া। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। আর কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৩০০ টাকায়। যদিও সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে ৬০-১০০ টাকা। এছাড়া লাউ, লতি, কচুরমুখি, ধুন্দুল, চিচিঙ্গা, পটোলের দাম রয়েছে ৫০-৯০ টাকার ঘরে।
বাজারের এই দ্রব্যমূল্য কমতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে কাঁচামাল আড়ৎ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার। দেশের অনেক এলাকার বন্যা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এ সময় সবজির সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম আর বাড়বে না। এছাড়া বাজারের বর্তমান দ্রব্যমূল্য কমতেও আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগতে পারে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)