মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় সমন্বিত বৃত্তি ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে কঠোরতা আনছে সরকার। এখন থেকে যেসব শিক্ষার্থী বিবাহিত, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে কিংবা পরীক্ষায় কম নম্বর অর্জন করে, তারা আর উপবৃত্তির আওতায় আসবে না। একইসঙ্গে বর্তমানে যেসব উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী এসব নির্ধারিত মানদণ্ড পূরণে ব্যর্থ হয়েছে তাদের নামও তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি এবং একাদশ ও সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ৪৫ শতাংশের কম নম্বর পেয়েছে, ৭৫ শতাংশের কম ক্লাসে উপস্থিত থেকেছে, বিবাহিত অথবা অন্য যেকোনো কারণে অযোগ্য, তাদের উপবৃত্তি অব্যাহত থাকবে না। তাই উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত অযোগ্য শিক্ষার্থীদের স্ট্যাটাস (ওয়েবসাইটের তথ্য) পরিবর্তনের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয়করণ করতে হবে। তবে দ্বাদশ ও সমমান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তথ্য নিষ্ক্রিয় করার প্রয়োজন নেই বলেও জানানো হয়েছে।
যে প্রক্রিয়ায় বাদ দিতে হবে অযোগ্য শিক্ষার্থীদের
শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্কিম পরিচালক ও যুগ্মসচিব মোহাম্মদ আসাদুল হক জানিয়েছেন, উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত হবে, তাদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়াটি স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই করতে হবে।
সেজন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রথমে hsp.pmeat.gov.bd/HSP-MIS/login লিংকে প্রবেশ করতে হবে। এরপর মেনুবার থেকে ‘উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী’ অপশনে ক্লিক করে ‘শিক্ষার্থী স্ট্যাটাস পরিবর্তন’ বাটনে গিয়ে শ্রেণি নির্বাচন করে খুঁজতে হবে। অযোগ্য শিক্ষার্থীর নামের পাশে থাকা কলম আইকনে ক্লিক করে ‘শিক্ষার্থীর বর্তমান স্ট্যাটাস’ অংশে ‘নিষ্ক্রিয়’ নির্বাচন করতে হবে।
স্ট্যাটাস পরিবর্তনের কারণ হিসেবে ৪৫ শতাংশের কম নম্বর প্রাপ্তি, ৭৫ শতাংশের কম ক্লাসে উপস্থিতি, বিবাহিত বা অন্যান্য কারণ বেছে নিতে হবে এবং মন্তব্যের ঘরে নির্দিষ্ট কারণ উল্লেখ করতে হবে। সর্বশেষ ‘সংরক্ষণ’ বাটনে ক্লিক করলে সফল বার্তা প্রদর্শিত হবে।
এ ছাড়া এ কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন না হলে বা অযোগ্য শিক্ষার্থীর কাছে উপবৃত্তির অর্থ পাঠানো হলে সৃষ্ট সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে দায়ী করা হবে বলেও জানিয়েছে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)