রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১


কর্মস্থলে নিরাপত্তা চান পদ বঞ্চিত শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪৩

ছবি-সংগৃহীত

ছবি-সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে অবাঞ্চিত, অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের স্বপদে বহালের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি ও কর্মস্থলে নিরাপত্তা চেয়েছেন পদ বঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকজোট

শনিবার (৫ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পদ-বঞ্চিত প্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষক জোটের আনোয়ারুল ইসলাম তালুকদার, প্রধান শিক্ষক আলকাছ উদ্দিন আহমেদ, কেকা রায় চৌধুরী, অধ্যক্ষ ড. মো. ইদ্রিস আলী, মহাদেব চন্দ্র দে, নাজমা বেগম, সিদ্দিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সারা দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষকদের অপমান, অপদস্ত, হেনস্তা ও মারধর করে জোরপূর্বক পদত্যাগ, অপসারণ, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক ছুটি, কর্মস্থলে অবাঞ্ছিত ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। প্রায় দুই হাজার শিক্ষক পদ-বঞ্চিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছেন।

তারা বলেন, যেখানে শিক্ষকদের বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর, সেখানে আজ আমরা নিগৃহীত, নির্যাতিত। সততা, নিষ্ঠা ও নৈতিকতার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে স্বার্থলোভী লোকদের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েছি। তারা এই সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারীদের সংঘবদ্ধ করে এমন নিষ্ঠুর নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছে যা অস্বাভাবিক, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। এ ঘটনা জাতির জন্য এক কলঙ্কিত অধ্যায়।

শিক্ষকরা বলেন, এক শ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বহিরাগত দুর্বৃত্ত এমন অনৈতিক, অন্যায় ও মব জাস্টিসের মত বর্বরতার কবলে পড়েছেন স্বপ্ন আয়ের পেশাগত দায়িত্বে থাকা এই শিক্ষকরা। ফলে কেউ আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। কেউ চাকরি হারিয়ে, বেতন না পেয়ে, পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। কেউবা ঘর-বাড়ি ছেড়ে দূর-দূরান্তে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন হয়রানি ও বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে আমরা রক্ষা পেতে চাই, বাঁচতে চাই।

তারা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানসমূহে এখনও শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও নানাভাবে হেনস্তা করার ঘটনা ঘটছে। যা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা পদ-বঞ্চিত শিক্ষকেরা কর্মস্থলে যেতে পারছি না। আমাদের বেতন-ভাতাদি বন্ধ। স্ত্রী-সন্তানাদি নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। দেশব্যাপী শিক্ষক হয়রানি বন্ধ করা হোক। শৃঙ্খলাভঙ্গকারীদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

 

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:৫৮ ভোর
যোহর ১১:৪৫ দুপুর
আছর ০৩:৩৬ বিকেল
মাগরিব ০৫:১৫ সন্ধ্যা
এশা ০৬:৩১ রাত

রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪