শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর)। অন্যান্য সময় প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেও এবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তা করছেন না। স্ব স্ব শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানেরাই এবার ফল প্রকাশ করবেন। ওইদিন বেলা ১১টায় পরীক্ষার ফল স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান থেকে এবং অনলাইনে একযোগে প্রকাশিত হবে।
দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এসব তথ্য জানান।
তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া বোর্ডগুলোকে জানানো হয়েছে। বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার। কেন্দ্রীয়ভাবে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সেটা হলো, বেলা ১১টা। ওইসময় সব বোর্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করবে। একই সময়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ফল পেয়ে যাবে। তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ফলাফল টাঙিয়ে দিতে পারবে।
ফল জানা যাবে যেভাবে
শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এসএমএসের মাধ্যমে ফল পেতে মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে ইংরেজি অক্ষরে এইচএসসি লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখতে হবে। এরপর ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, HSC DHA 123456 2023 লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। সঙ্গে সঙ্গেই ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল জানতে শিক্ষার্থীকে প্রথমে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে থাকা ফলাফল অপশনে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলেই শিক্ষার্থীরা তার পুরো রেজাল্ট শিট দেখতে পাবেন।
কলেজগুলো ফলাফল শিট পাবে যেভাবে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থীর ফলাফলের শিট পাবে, সেটাও জানিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়, স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ঢুকে ইংরেজি অক্ষরে লেখা রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করতে হবে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর অ্যান্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফলাফল শিট ডাউনলোড করা যাবে।
এবার এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ৩০ জুন। মোট পরীক্ষার্থী সাড়ে ১৪ লাখের মতো। সাতটি পরীক্ষা হওয়ার পর সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক দফায় পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তখন পর্যন্ত ছয়টি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি ছিল। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষাও বাকি। একপর্যায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন সরকার পতনের এক দফায় রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। পরে ১১ আগস্ট থেকে নতুন সময়সূচিতে পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হলেও আর হয়নি।
কারণ হিসেবে শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির দিন বিভিন্ন এলাকার থানায় হামলা হয়েছিল। এতে থানায় রাখা প্রশ্নপত্রের ট্রাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ অবস্থায় ১১ আগস্টের পরিবর্তে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আন্দোলনে নামেন পরীক্ষার্থীদের অনেকে।
তাদের দাবি ছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরীক্ষা বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের মানসিক চাপে ফেলেছে। তাই অবশিষ্ট পরীক্ষাগুলো বাতিল করতে হবে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)