মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
এসএসসি ও সমমানের পুনর্নিরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ফেল থেকে পাস করেছেন ১৩৭ জন শিক্ষার্থী। নতুন জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২০০ জন। আর ফেল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন একজন পরীক্ষার্থী।
ঢাকা বোর্ডের প্রায় ৫৯ হাজার ৩৮২ জন শিক্ষার্থী এক লাখ ৮০ হাজার ৬০টি বিষয়ের খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে বিভিন্ন গ্রেডে মোট এক হাজার ৩৩৯ জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলে সন্তুষ্ট না হওয়া শিক্ষার্থীরা প্রতিবারের মতো এবারও পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করার সুযোগ পায়। গত ১৬ অক্টোবর থেকে এ আবেদন চলে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপরই আজ পুনর্নিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশিত হলো।
পুনর্মূল্যায়নে যেসব বিষয় দেখা হয়
বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন হওয়া উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এগুলো হলো— উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের সঠিকভাবে নম্বর দেওয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক রয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা। এসব পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষক কোনো প্রশ্নের উত্তরের জন্য যে নম্বর দিয়ে থাকেন সেটি পরিবর্তনের সুযোগ নেই।
যেমন— পরীক্ষক একটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য ৬ নম্বর দিয়েছেন; সেটি ভুলবশত ৩ নম্বর হিসেবে গণনা করা হলো; এ ধরনের ভুল সংশোধন করা হয়। এ ক্ষেত্রে কোনোভাবে যাতে পরীক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা বিবেচনায় রাখা হয়। কিন্তু এই ৬ নম্বরের স্থলে ৮ করার সুযোগ নেই।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)