বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫, ৫ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
দেশের শোবিজাঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান এবং স্বনামধন্য মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ১৯৯৭ সালে। তাদের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান।
বিয়ের পর এক ছাদের নিচে কাটিয়ে দিয়েছেন ২৭ বছর। এই লম্বা সময়ে দুজনে দুজনের জীবনে ছায়ার মতো ছিলেন। নানা প্রতিকূলতা বাধাতেও হাত ছেড়ে যাননি।
তবে সম্প্রতি সময়ে এই তারকা দম্পতির ব্যস্ততা বেড়েছে। ফলে একসঙ্গে দুজনকে কোনো অনুষ্ঠান বা আয়োজনে সেভাবে দেখা যায় না।
বিষয়গুলো নিয়ে এক পডকাস্টে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন জাহিদ হাসান। যেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, দাম্পত্যজীবনে কোনো দূরত্ব এসেছে কি না?
জবাবে জাহিদ হাসান বললেন, ‘আমরা ভালো আছি। যদিও একসঙ্গে কোথাও আসলেই যাই না। কারণ আমার শুটিং থাকে রাত করে। এত বছর শুটিংয়ের কারণেই একত্রে কোথাও যেতে পারিনি। যারা মন্তব্য করে, তারা হয়তো জানে না, আমার আপন ভাইয়ের বিয়েতেও আমি যেতে পারিনি। সেদিন আমার বিচ্ছু নাটকের শো ছিল বরিশালে। আমার জীবন এভাবেই শুরু হয়েছে। শুটিংয়ের জন্য শিডিউল আগে থেকে নিয়ে রাখা হয়। এর মধ্যে হঠাৎ দাওয়াত এসে পড়ে। তখন আর সেই দাওয়াতে যাওয়া যায় না। আর এখন কোনো ক্লাবে গেলে আড্ডা ছেড়ে আসতে ইচ্ছা করে না। তাই অনুষ্ঠানগুলোয় মৌ একাই যায়। সে দেশে না থাকলে আমি যাওয়ার চেষ্টা করি।’
এই পডকাস্টেই নিজের সাবেক প্রেমিকার প্রসঙ্গও টেনে আনেন জাহিদ হাসান। অভিনেতা জানালেন, তার সাবেক প্রেমিকার কথাও জানেন মৌ। এ নিয়ে নাকি অনেক সময় তার সঙ্গে মজাও করেন অভিনেত্রী স্ত্রী।
জাহিদ হাসানের কথায়, ‘আমার পরিবারের সবাই আমার আগের সম্পর্কের কথা জানে। মৌ মাঝে মাঝে এটা নিয়ে মজা করে। আমাকে লেগপুলিং করে। একদিন হঠাৎ সে আমাকে বলল, এগুলো এভাবে ফেলে রাখো কেন, যত্ন করে রাখো। দেখি, তার হাতে অনেকগুলো চিঠি। ’
মৌয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জাহিদ হাসানের। তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন বেশ কিছু নাটকে। তার চিঠি এখনো বাড়িতে যত্ন করে রেখে দিয়েছেন জাহিদ। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর একত্রে আর কোনো কাজ করেননি তারা। এমনকি মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা হলে পরস্পরের সঙ্গে কথাও বলেন না। তাকে নিয়ে এখন আর কোনো মন্তব্যও করতে চান না জাহিদ হাসান।
তিনি বলেন, ‘তাকে নিয়ে কিছু বললে অশ্রদ্ধা করা হয়। সেটা করতে চাই না। আমি তাকে একসময় ভালোবেসেছিলাম। আমার মতো সেও খুব ভালো আছে। এটাই বড় কথা। ’
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)