সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২
ফাইল ছবি
জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেতা জেমস রেনসোনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ১৯ ডিসেম্বর লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজ বাসভবন থেকে ৪৬ বছর বয়সী এই অভিনেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, গলায় ফাঁস লেগে জেমসের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেতার বাসা থেকে আসা কলের ভিত্তিতে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং তার নিথর মরদেহ উদ্ধার করেন। তদন্তে এখন পর্যন্ত কোনো খুনের ষড়যন্ত্র বা অস্বাভাবিক আলামত পাওয়া যায়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা।
স্ত্রীর রহস্যময় পোস্ট ও মানসিক স্বাস্থ্য জেমসের মৃত্যুর ঠিক দুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার স্ত্রী জেমি ম্যাকফির একটি পোস্ট এখন আলোচনার কেন্দ্রে। তিনি ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অন মেন্টাল ইলনেস’-এর সমর্থনে একটি তহবিল সংগ্রহের পোস্ট শেয়ার করেছিলেন।
অভিনেতার মৃত্যুর পর সেই পোস্টটি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে, যা তার মানসিক অবসাদের দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে ধারণা নেটিজেনদের। অতীতের লড়াই ও তিক্ত স্মৃতি জেমস রেনসোনের জীবন ছিল চড়াই-উতরাইয়ে ভরা। ২৭ বছর বয়সে মাদক আসক্তির শিকার হয়েছিলেন তিনি, ডুবেছিলেন ৩০ হাজার ডলারের ঋণে।
তবে ২০০৬ সাল থেকে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার চেষ্টা করেন। ২০২১ সালে এক সাক্ষাৎকারে জেমস জানিয়েছিলেন, শৈশবে তিনি নিজের গণিত শিক্ষকের হাতে যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন। এই ঘটনা নিয়ে ২০২০ সালে মামলা করলেও পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে জেমস রেনসোন স্ত্রী জেমি ও দুই সন্তান রেখে গেছেন। ‘দ্য ওয়্যার’, ‘ইট: চ্যাপ্টার ২’, ‘সিনিস্টার’, ‘দ্য ব্ল্যাক ফোন’ এবং ‘ওল্ড বয়’-এর মতো কালজয়ী সিনেমা ও সিরিজে তার অভিনয় দর্শকদের মনে গেঁথে থাকবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)