রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
বিচ্ছেদ ঘোষণার পর কয়েকদিন ধরে আলোচনায় রয়েছেন হেমা-ধর্মেন্দ্রর মেয়ে এষা দেওল ও হীরা ব্যবসায়ী ভরত তখতানি। তারা ২০১২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
তাদের প্রথম আলাপ অবশ্য হয়েছিল বিয়ের অনেক বছর আগে, একটি আন্তঃস্কুল প্রতিযোগিতায়। তারপর আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। এর ১০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে আবার দেখা হয়েছিল এষা ও ভরতের। তখন থেকেই প্রেমের শুরু। তারপর তা গড়ায় বিয়েতে। তাদের দুই কন্যা সন্তানও রয়েছে। তবে তাদের সেই সম্পর্ক টেকেনি।
এষা ও ভরতের বিচ্ছেদের পর সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া ভরতের পুরোনো একটি সাক্ষাৎকার। বিয়ের পরপর সেই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন ভরত। সেখানে এষাকে অত্যন্ত ‘পজেসিভ’ প্রকৃতির বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তার কথায়, ‘আমিও পজেসিভ তবে ওর মতো অতটাও নয়। ও আমাকে অষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে।’ অর্থাৎ ভরতের কথায়, তার ওপর এষার অধিকার বোধ একটু বেশিই ছিল।
সাক্ষাৎকারে ভরত জানিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়। এষার অভ্যাস তর্ক করতে থাকা। তবে ঝগড়ার পর এষাই আবার সবকিছু ঠিক করে নিতে চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছিলেন ভরত। ভরতের কথায়, ‘যদিও তর্ক হয়, তবে আমিই সবসময় তাতে প্রথম হই।’ তবু ভরত বলেছিলেন, তাদের সম্পর্কে একটা সূক্ষ্ম বোঝাপড়া রয়েছে। ঝগড়ার পর তারা নিজেরাই তা মিটিয়ে নিতে পারেন।
এখন তাই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি ভরতের প্রতি এষার অতিরিক্ত অধিকার বোধ (পজেসিভ স্বভাব)ই তাদের বিচ্ছেদের কারণ হয়ে উঠেছে। আবার শোনা যাচ্ছে, এষা-ভরতের বিবাহবিচ্ছেদের কারণ নাকি ভরতের নতুন প্রেমে পড়া। জানা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরুতে ভরতের নাকি নতুন বান্ধবী জুটেছে। যদিও পারস্পরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছেন ভরত-এষা।
বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে এষা ও ভরত যৌথ বিবৃতি দেন। তারা জানান, আমরা পারস্পরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের এ পর্যায়ে এসেও আমাদের দুই সন্তান যাতে ভালো থাকে, সেটাই এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আশা রাখি আমাদের এই গোপনীয়তাকে সম্মান জানানো হবে।’ তবে এরপরও তাদের বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ কী, তা জানতে কৌতূহলী হয়ে পড়েছেন অনুরাগীরা।
এদিকে আবার ২০২০ সালে প্রকাশিত এষা দেওলের বই ‘আম্মা মিয়া’র বেশ কিছু লাইন সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘২০১২ সালে আমাদের যখন বিয়ে হলো তখন অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছিল। বিয়ের পর যেহেতু ওর পরিবারের সঙ্গে থাকতাম, তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি আর আগের মতো শর্টস আর গেঞ্জি পরে ঘরে ঘুরে বেড়াতে পারতাম না।’ একইসঙ্গে এষা সেখানে জানিয়েছিলেন বিয়ের আগে তিনি কখনো রান্না করেননি। বিয়ের পর সেটা করতে হতো।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)