শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সোহম চক্রবর্তী। ছোট থেকে টলিউডে মাস্টার বিট্টু নামেই পরিচিত তিনি। মাত্র তিন বছর বয়সে অভিনয়ে হাতেখড়ি হয়েছিল তার। তারপর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে একের পর এক কাজ করে চলেছেন সোহম। তবে জানেন কি, এই সোহমের সঙ্গে একাধিকবার ঘটে একাধিক ঘটনা। যা রীতিমতো চমকে দিতে পারে আপনাকে। শুনে নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
জি বাংলার শো অপুর সংসারে এসে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন সোহম। তিনি না কি যেখানেই যান, সেখানেই ভূত দেখেন। তিনি অনুভব করতে পারেন আশপাশে কেউ একজন রয়েছে। কেউ কিছু একটা করছে, যা খুব একটা স্বাভাবিক অনুভূতি নয়।
একবার কাটমান্ডু সিনেমার শুটিংয়ে গিয়ে ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছিল সোহমের। তিনি যে ঘরে শুয়েছিলেন... অনুভব করেছিলেন যে, কেউ একজন আশপাশে রয়েছে। তিনি বুঝতে পারেন খাটে কেউ যেন বসছে। রাত তখন ঠিক একটা। তিনি ভেবে দেখেন কাকে ফোন করা যায়। এই সময় মাথায় আসে তার রুদ্রনীল ঘোষের কথা। তিনি সেই রাতে রুদ্রনীলের সঙ্গে শুটে ছিলেন। এরপর ক্যামেরা ম্যানের সঙ্গে সেখানে শুতেন তিনি। সোহমের কথায়, সেই ব্যক্তিও অনুভব করেছিলেন।
এখানেই শেষ নয়, সোহম এদিন আরও একটি গল্প শেয়ার করেন। তিনি বলেন, অনেক বছর আগে একটা শুট করতে গিয়েছিলাম পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের ওপর, সেখানে একটি গেস্টহাউস ছিল। সেখানে গিয়েও ফিল করেছিলাম, আমার যিনি সহকারী ছিলেন, তিনিও দেখেছিলেন। রাত্রে একটা কালো মেয়ের ছায়া বাথরুম থেকে বেরচ্ছে, পুরো ঘরটা ঘুরে ছায়াটি ঢুকে যাচ্ছে। সবটা শুনে অবাক হয়ে থাকেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
এছাড়া, একবার দাদাগিরি শোতে এসে সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে নিজের ভয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন সোহম। অভিনেতা বলেন, মাঝে মাঝে চোখ বুজলেই দেখতে পেতাম পুড়ে যাওয়া সাদা-কালো একটা মুখ আমার দিকে তাকিয়ে আছে। শুয়ে আছি, দেখতাম ঘরের কোনে দাঁড়িয়ে আছে। তারপর যখন ব্যাপারটা বাড়তে থাকে আমি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এক ব্যক্তির কাছে যাই। সে এসে জানায়, হ্যাঁ ওই তো ও দাঁড়িয়ে আছে, পুড়ে মারা গেছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)