শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
সদ্যই সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন ওপার বাংলার ‘মিঠাই’ খ্যাত অভিনেতা আদৃত রায়। কৌশাম্বি চক্রবর্তীর গলায় মালা দিয়েছেন তিনি। অভিনেতার বিয়ের দিনই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে পুরোনো এক ভিডিও। যেখানে তার কণ্ঠে শোনা গেল ঢালিউড অভিনেত্রী পূজা চেরির সঙ্গে এক অভিজ্ঞতার গল্প।
ছোটপর্দায় কাজ করে জনপ্রিয়তা পেলেও এই অভিনেতার ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল বড় পর্দাতেই। আদৃতের প্রথম ছবি ছিল ‘নূরজাহান’। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমায় তার বিপরীতে কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী পূজা চেরি।
সেই ছবির শুটিংয়ের সময় এমনই এক ভয়ানক কাণ্ড ঘটেছিল, যে ঘটনায় মৃত্যুর শঙ্কা ছিল অভিনেত্রী পূজা চেরির। তবে সেদিন পূজার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন ছবির নায়ক ‘নূর’ অর্থাৎ আদৃত।
সঙ্গীতবাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনা জানিয়েছেন অভিনেতা নিজেই। আদৃত বলেন, ‘নূরজাহান’ আমার ছবি, যেই ছবির শুটিংয়ের এমন কোনো ঘটনা নেই, যেটা আমি ভুলে গেছি।
আদৃত বলেন, ‘আমরা মুর্শিদাবাদে শুটিং করছিলাম, একটা দৃশ্যে ‘জাহান’ মানে পূজা পানিতে ঝাঁপ দেয়। আর সেসময় আমিই তাকে গিয়ে বাঁচাই। যদিও দৃশ্যটা আসলে ছিল নায়িকা নায়ককে বাঁচাবে।’
অভিনেতা বলেন, পূজা একদমই সাঁতার জানে না। শুটিংয়ের একটি দৃশ্য ছিল, পানিতে লাফিয়ে পড়ার পরে আমার ডায়লগ থাকবে ‘বাঁচাও, বাঁচাও’। কিন্তু পূজা পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার পরে সে নিজেই বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। এমন অবস্থা দেখে আমি পরিচালককে জিজ্ঞেস করি, ও কেন আমার ডায়লগ বলছে? তখন পরিচালক অভিমন্যু দা আমাকে বলে, ও সত্যিই ডুবে যাচ্ছে। ওকে বাঁচা। তখনই আমি ওকে পানি থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এই ঘটনা আমার এখনও মনে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ‘নূরজাহান’ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন আদৃত রায়। ২০১৯-এ ‘প্রেম আমার-২’ সিনেমায় নায়কের চরিত্রে ছিলেন আদৃত। এছাড়াও ২০১৯ সালে ‘পরিঁণীতা’ এবং ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন আদৃত।
তবে সিনেমার জগতে সেভাবে সাফল্য আসেনি। এরপর ২০২১ সালে ছোট পর্দায় অভিনয় শুরু করেন আদৃত। সেখানে জি বাংলার ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই জনপ্রিয়তা পান তিনি।
এদিকে ব্যক্তিজীবনে গত ৯ মে বান্ধবী কৌশাম্বি চক্রবর্তীর সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেতা। কৌশাম্বির সঙ্গেও আদৃতের বন্ধুত্বের শুরু হয়েছিল ‘মিঠাই’তে কাজ করার সময় থেকেই। এই নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পূজা চেরি নিজেও।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)