শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
ভারতের বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও রাজনীতিবিদ রচনা ব্যানার্জি। তবে সিনেমা বা অভিনয়ের চেয়ে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন সঞ্চালনা নিয়ে। তার সঞ্চালনায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ নামে একটি বাংলা টিভি শো।
ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচনে হুগলির তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। তা নিয়ে যদিও বেশ সমালোচনায় পড়েছেন রচনা। এবার তাকে নিয়ে নতুন এক তথ্য ফাঁস হল। যে তথ্যে রীতিমতো লজ্জা পেতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে।
জানা গেছে, রচনা তার মেকাপ রুমে সবসময় একটি বোরকা রাখেন। সেই বোরকা পরে একটি বিশেষ কাজ করেন এই অভিনেত্রী। সেই বিশেষ কাজটা কী তা এক টিভি শো তে ফাঁস করে দিয়েছেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। তা নিয়ে যদিও বেশ লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন রচনা।
ওই টিভি শোতে সুদীপা বলে ওঠেন, রচনার ঘরে সব সময় একটা বোরকা ঝুলে। সেই বোরকা দেখে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম ঠিক কী কারণে বোরকাটি ঝুলছে। তারপর মেকআপ আর্টিস্ট জানিয়েছিল আসল কাহিনি।
কিন্তু, আর দশজনের মতো তারকাদেরও একটা স্বাভাবিক জীবন আছে। তাদের সংসার বা পরিবার নিয়েও দেখাশোনা করতে হয়। কোনো না কোনো কাজে বাইরে লোকসম্মুখেও বের হতে হয়; ব্যতিক্রম নন রচনা ব্যানার্জীও। ছেলেকে নিজের মতো করে মানুষ করছেন তিনি। মায়ের সঙ্গে থাকায় হাজার ব্যস্ততার মাঝেও ছেলের লেখাপড়া নিয়ে বেশ সতর্ক থাকেন রচনা। হয়তো মাঝে মাঝে ছেলেকে স্কুলে আনা নেওয়ার কাজও করেন তিনি।
অভিনেত্রী যেন অবাধে সকলের সামনে আসতে চলাফেরা করতে পারেন, সে কারণেই রচনার মেকআপ রুমে বোরকাটি রাখা থাকে। পথেঘাটে তাকে যেন কেউ চিনতে না পারেন সে জন্য বোরকাই অভিনেত্রীর ভরসা।
উল্লেখ্য, রচনা ব্যানার্জী বাংলা এবং ওড়িশা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি রাজনীতির মাঠেও সরব এই অভিনেত্রী। এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট নিয়ে ভোটে অংশ নিয়েছেন রচনা। ১৯৯২ সালে ন্যাশনাল গার্লস হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন অভিনেত্রী। এরপর ১৯৯৪ সালে পরিচালক সুখেন দাসের প্রথম সিনেমা ‘দান প্রতিদান’ এর মাধ্যমে এই অঙ্গনে প্রথম পা রাখেন। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউডি সিনেমা ‘সুর্য্যবংশম’ এ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গেও দেখা গেছে তাকে। মোট ৩৫টি সিনেমায় অভিনয় করা এই অভিনেত্রীকে বর্তমানে শুধু টিভি শোতেই দেখা যায়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)